ঢাকার বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত মিরপুর পল্লবী থানার ৫ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক মকবুল আহমেদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দিয়েছে দলটি।
আজ সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিহত মকবুল আহমেদের স্ত্রী মেরিনা আক্তার বর্ষা এবং ছোট মেয়ে মিথুরা আক্তার মারিয়ার হাতে দলের পক্ষ থেকে অনুদানের নগদ এক লাখ টাকা তুলে দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
এ সময় তিনি বলেন, আমরা দলের পক্ষ থেকে চেষ্টা করব, তাদের জন্য আরও কিছু করার। বিএনপি মকবুলের এই ত্যাগ সারাজীবন মনে রাখবে এবং তার অসহায় পরিবারের পাশে থাকবে।
এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স জানান, ঘটনার পরই মকবুলের পরিবারকে নগদ এক লাখ টাকা দিয়ে সাহায্য করেন ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক। এ ছাড়া মকবুলের একমাত্র কন্যার পড়াশোনার ভারও তিনি নেন।
মিজুর পরিবারের পাশে বিএনপি নেতারা:
এ ছাড়া রাজধানীর ওয়ারী থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল মেহবুব মিজুর বাবা মিল্লাত হোসেনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে মামলা করা হবে বলে জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
সোমবার দুপুরে নিহতের স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নাসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
টুকু বলেন, তদন্ত ছাড়া পুলিশ কীভাবে বলছে উত্তেজিত হয়ে স্ট্রোক করেছেন? যুবদল নেতা মিজুর বাবা হত্যার বিচার একদিন হবেই। যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না বলেন, দল মিজুর পরিবারের পাশে থাকবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের আগে মধ্যরাতে যুবদল নেতা মিজুকে খুঁজতে এসে না পেয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তার বাবা মিল্লাত হোসনকে পিটিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা না হওয়ায় ও যুবদল নেতার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রাখায় পুলিশের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন