বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশে যারা আন্দোলনে হারে তারা নির্বাচনে জয়ী হতে পারেনা। কত হাঁকডাক বিজয় মিছিল হবে ১০ তারিখে। ১০ তারিখ তো চলে গেলো। আতঙ্ক সৃষ্টি করা হলো। বিআরটিসি বাস পোড়ানো হলো। শত শত চালের বস্তার সঙ্গে পাওয়া গেলো বিস্ফোরক নয়াপল্টনে। সব কিছু অচল করে দিলো। এখন তারা নিজেরাই অচল। ১০ দফা বাদে কিছু দেখলামনা। পুরোনো কথা, পুরোনো গল্প, পুরোনো দাবী, নতুন করে নাটক। তত্ত¡াবধায়ক সরকার সুপ্রিম কোর্ট আপীল বিভাগ মৃত ঘোষনা করেছে। আজকে আপনারা ব্যার্থ চেষ্টা করছেন। তবে আপনাদের ১০ দফা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ৭জন সংসদ সদস্য চলে গেলো। ভুল করলো। পারলামেন্টকে এভাবে বয়কট করা কত বড় ভুল তা অচিরেই টের পাবে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি’র সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন এমপি, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলী আজগার টগর ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মঞ্জু।
চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন বলেন, এদিন প্রায় সকাল ৮টার দিকে সম্মেলন স্থলের পিছনের দিকে প্রায় আনুমানিক ৫০ জন কর্মীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সে সময় আমরা পুলিশ সদস্যদের কোন কোন স্থানে দায়িত্ব পালন করতে হবে তা নিয়ে ব্যাস্ত ছিলাম। কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি হলে সেটা ঠেকাতে গিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক আঘাত পান। সেখানে পুলিশের কোন লাঠি চার্জের ঘটনা ঘটেনি। আহত অনিককে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২ ডিসেম্বর টাউন ফুটবল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন