শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

লোহাগড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ডান হাত

লোহাগড়া (নড়াইল) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০১ এএম

নড়াইলের লোহাগড়ায় আকবর হোসেন লিপন নামে এক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ও সাবেক ইউপি মেম্বরকে হত্যার উদ্দ্যেশে কুপিয়ে শরীর থেকে হাত বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে গ্রাম্য প্রতিপক্ষরা। এছাড়াও তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের একাধিক কোপের চিহ্ন রয়েছে। তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত রোববার দিবাগত রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার মঙ্গলহাটা গ্রামের উত্তর পাড়া জামে মসজিদের পাশে এ ঘটনা ঘটে। আহত আকবর হোসেন লিপন উপজেলার মঙ্গলহাটা গ্রামের মৃত. নুর মিয়া শেখের ছেলে। তিনি মল্লিকপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক এবং গত ইউপি নির্বাচনে মল্লিকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে , গত রোববার রাত ৯টার দিকে লিপন মঙ্গলহাটা গ্রামের বিল্লালের চায়ের দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে উত্তরপাড়া জামে মসজিদের কাছে আসলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার কব্জি ও কনুইের মাঝ থেকে ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় তার দুই পাসহ শরিরের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক গুরুতর জখম হয়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। জখমের প্রকৃতি গুরুতর হওয়ায় এবং হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে লোহাগড়া হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে দ্রুত ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক খালিদ সাইফুল্লাহ বেলাল বলেন, লিপনের ডান হাত শরীর থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ছিল। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
লিপনের মা স্বরুপজান বেগম জানান, গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মল্লিকপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের সাথে লিপনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত ইউপি নির্বাচনে লিপন মোস্তফা কামালের প্রতিদ্বন্দ্বি হয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে। নির্বাচনে দু’জনেই পরাজিত হলেও লিপন মোস্তফার চেয়ে বেশি ভোট পায়। তখন থেকে বিরোধ আরও জোরালো হয়। এর জের ধরে মোস্তফা শিকদার ও তার লোকজন আমার ছেলে লিপনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে। লিপনের ওপর হামলার শেষে হামলাকারীরা লিপন সমর্থিত চন্নু মোল্যা, মান্নান মোল্যা ও পিরু মোল্যার বাড়ী ভাঙচুর করেছে। এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমের বিচ্ছিন্ন হাতটি উদ্ধার করে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- গ্রাম্য আধিপত্যের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন