টাঙ্গাইলের মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আগামী তিন মাসের মধ্যে বিবাদীদের একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব ও ব্যারিস্টার এম আশরাফুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
গত ১১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের স্থানীয় বাসিন্দা তোফায়েল হোসেন এ রিট দায়ের করেন।
আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে জানান, রিটের আগে ৩১ অক্টোবর তোফায়েল হোসেন এ বিষয়ে দুদক ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবরে একটি আবেদন দেন। এতে কোন সাড়া না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। আবেদনে বলা হয়, কিছু বিপথগামী শিক্ষক এবং অধ্যক্ষের কারণে কলেজ ফান্ডের টাকা এবং শিক্ষার্থীদের প্রদেয় টাকা (বেতন, পরীক্ষার ফিস ইত্যাদি) ব্যাপকভাবে তছরুপ করা হয়। যে কারণে এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আব্দুল বাতেন তৎকালীন অধ্যক্ষকে অপসারিত করে কলেজের এক সৎ শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেন। তার দক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে ফান্ডের প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যাংকে জমা হয় এবং অভিভাবকসহ এলাকার মানুষের কোন অভিযোগ থাকেনি। কিন্তু বর্তমান অধ্যক্ষ লোকমান হাসান নানা অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারণার মাধ্যমে কলেজের নিয়ম ভঙ্গ করে স্বাক্ষর জাল করে নিজের দুই আপন মামা এবং নিজের স্ত্রীকে অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী হিসাবে দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে নিজে অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষায় কৃতকার্য হন। এ পরীক্ষায় কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, বিদ্যোৎসাহী সদস্য ৩জন শিক্ষক প্রতিনিধি এবং একজন ডাক্তারসহ ৬জন ব্যক্তির স্বাক্ষর ছাড়াই উক্ত নিয়োগ পরীক্ষা অনুমোদিত হয়। বর্তমান অধ্যক্ষ উক্ত ৬ জনের মধ্যে একজনের স্বাক্ষর নিজে বলে জালিয়াতি করে। এছাড়াও বিভিন্ন অনিয়মের মধ্যে কলেজ সভাপতি নিয়ম অনুযায়ী সভা করতে গেলে অধ্যক্ষ কলেজ রেজুলেশন বহি তার বাসায় নিয়ে রেখে দেন, যা সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত। বর্তমান অধ্যক্ষ মো. লোকমান হাসান ৫৪ লাখ পঁয়ত্রিশ হাজার নয়শত চল্লিশ টাকা কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতির অনুমতি ছাড়া একক সিদ্ধান্তে বিভিন্ন প্রকার খরচ দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে যা দেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন