বীর মুক্তিযোদ্ধারা যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন তখনই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরো হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামসরা বাংলাদেশে যে গণহত্যা চালিয়েছে ঠিক তেমনিই গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপি ঢাকা সমাবেশের নামে ৭১ সালের এর মতো মহা-তান্ডব চালানোর পরিকল্পনা করেছিলো।
বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরের ডিআর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আ’লীগের ত্রি-বাষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তবে বাংলাদেশ আ’লীগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি এসব কথা বলেন।
৯বছর পর অনুষ্ঠিত উপজেলা আ’লীগের কাউন্সিল শেষে এড. আবুল কালাম আজাদকে সভাপতি ও গোলাম সারওয়ার হাছান চিনুকে সাধারন সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও যুগ্ম সাংগঠকি সম্পাদক হিসেবে আরিফুল ইসলাম শাহেদের নাম ঘোষনা করা হয়।
আল মাহমুদ স্বপন আরো বলেন, জিয়াউর রহমানের সাথে বাংলার এবং বাংলাদেশের কো সর্ম্পক ছিলোনা। তার পিতা কলিকাতায় চাকরি করতেন। তার পরিবার কলিকাতায় থাকতেন। জিয়ার জন্ম কলিকাতায় এবং সেখানেই লেখা পড়া করেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এফসিএ’র সভাপতিত্বে ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক রানার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আ’লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো.আবদুস সবুর ও ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ও হেমানা আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা আহমদ মেরী।
উদ্বোধক ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগের সভাপতি ম.রুহুল আমিন, প্রধান বক্তা ছিলেন সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টার। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক জাঙ্গীর আলম সরকার, সহ-সভাপতি হানিফ সরকার, মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম সরকার কিশোর, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন আল রশিদ, সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম খসরু প্রমূখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন