জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার যমুনা সার কারখানা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কারখানার গেটপাড়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও পোগলদিঘা ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ উভয় গ্রæপের অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, যমুনা সার কারখানায় পরিবহন চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা সংঘবদ্ধ হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় একপক্ষের বিরুদ্ধে গুলিবর্ষণের অভিযোগ উঠে। সংঘর্ষে পুলিশের এসআই আব্দুল মালেক (৪০), কনস্টেবল নজরুল ইসলাম (৫৭) ও কনস্টেবল মাজহারুল ইসলাম (৩২), ফজলুল হক বাবু (৩২), রোকন (৩০) রিপন (২৮), খালেদা (৬০), রাবেয়া (১৮), হাফিজুর (৩৫), বাচ্চু (৩৫), মোস্তাক (৪৫), মোতালেবসহ (২৫) অন্তত ১৫ জন আহত হন। গুরুতর আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক অভিযোগ করেন, স্থানীয় খুটামারা বিলে গ্রামবাসী মাছ চাষ করেছে। রফিকের লোকজন বিলের মাছ জোরপূর্বক মারতে যায়। তাদের বাঁধা দিলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে রফিকের গ্রুপ থেকে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করা হয় বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
অপরদিকে রফিকুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কারণ ছাড়াই চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তার বাণিজ্যিক কার্যালয় ও দুইজন কর্মীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এসময় কার্যালয়ের ম্যানেজার শাহ আলমকে মারধর করে নগদ টাকা লুটতরাজ করা হয় বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, সারকারখানায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষে সংঘর্ষে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এসময় ইটপাটকেলের আঘাতে তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন