রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

মুক্তিযুদ্ধে সকলের অবদান স্বীকার করতে হবে

চিত্ত ফ্রান্সিস রিবেরূ

| প্রকাশের সময় : ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

১৯৭১ সনের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ পরিচালনা করে সেটাই মহান মুক্তিযুদ্ধ। সময়ের দাবিতে যথাযথলগ্নে মুক্তিযুদ্ধ সমাপ্ত হয়, কিন্তু যুদ্ধের মৌলিক কারণ ও লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে কি-না, সে বিষয়ে অদ্যাবধি আলোচনা অব্যাহত আছে এবং থাকবে। স্বাধীনতা দিবস এবং বিজয় দিবস এলে এ বিষয়ে বিস্তর আলোচনা ও মূল্যায়ন হয়। আগামীতেও হবে।
১৯৪৭ এর ১৪ আগস্ট, ঔপনিবেশিক বৃটিশ শাসনের কবলমুক্ত হলেও বাংলাদেশ পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় উপনিবেশে পরিণত হবার যন্ত্রণা, বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলো। ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি ও গোত্রের বিভিন্নমুখী সংস্কৃতি উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় সরকার পূর্ব পাকিস্তানবাসীর উপর পশ্চিমা ভাষা উর্দু চাপিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিলো। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের জাতির পিতা কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকা সফরে এসে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা করেন। তৎকালীন ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রভাষা উর্দু ঘোষণার প্রতিবাদ জানান। শুরু হয় ভাষা আন্দোলন। ভাষা আন্দোলনের কারণে বাঙালি জাতীয়তাবাদের মৌলিক ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫২ সালে ঢাকায় অনুুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের অধিবেশন চলাকালে, ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশে, আমগাছ তলায় অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার সমাবেশ থেকে প্রস্তাবিত স্মারকলিপি পেশ করার উদ্দেশ্যে জগন্নাথ হলমুখী বিপ্লবী জনতার শোভাযাত্রায় পুলিশ বাধা দেয়। পরের দিন ২১ ফেব্রুয়ারি বাড়তি জনবল নিয়ে পুনঃরায় শোভাযাত্রা আরম্ভ করলে, প্রতিবাদী ছাত্র-জনতার শোভাযাত্রায় পুলিশ গুলি চালায়। ঘটনাস্থলে পুলিশের গুলিতে বরকত, সালাম, রফিক, জব্বার শাহাদাৎ বরণ করেন। ছাত্র হত্যার দায়ে ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ দেশব্যাপী হরতাল ঘোষণা করা হয়। ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা ‘মর্নিং নিউজ’ ছাত্র আন্দোলনের প্রতিকূলে সংবাদ প্রচার করে। সে যুগে পুরাতন ঢাকার জুবিলী প্রেস থেকে পত্রিকাটি প্রকাশিত হতো। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা প্রেসটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। সেদিনও পুলিশের গুলিতে আরো দু’জন নিহত হয়। ঘটনার প্রতিবাদ এবং পরবর্তী বছর শহীদ দিবস পালন করতে গেলে সরকারি বাধার কারণে ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস নামে নতুন ইতিহাসের সুপ্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং সভার স্থল আমতলায়ই গড়ে উঠে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। এর আগে প্রথম বিরোধী দল হিসেবে আওয়ামী মুসলিম লীগের জন্ম হয়। পরে দলটি আওয়ামী লীগ নামে হয়ে উঠে পূর্ব পাকিস্তানি জনতার প্রিয় দল। ১৯৫৪ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেও পূর্ব-পশ্চিমের বৈষম্যগত কারণে ক্ষমতায় টিকে থাকতে ব্যর্থ হয়। ক্ষমতালোভী সেনাপ্রধান জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব খান সামরিক আইনের মাধ্যমে নিজেই ক্ষমতা দখল করে নেন। পরে দেশে মৌলিক গণতন্ত্র চালু করা হয়। উন্নয়নের দশক পার করা পর্যন্ত আইয়ুব খানকে এবং পাকিস্তানকে উচ্চ মূল্য দিতে হয়েছে বটে! শেষ অবধি ছাত্র রাজনীতির কঠোর প্রভাব কাটানো তার পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠেনি। জনপ্রিয় নেতা শেখ মুজিবের দীর্ঘস্থায়ী কারাবাস হওয়ায় দেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করা হতো তৎকালীন ছাত্র রাজনীতির নিজস্ব ধারায়। আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগই তৎকালীন রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করার কারণে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও তৎকালীন জগন্নাথ কলেজকে বলা হতো রাজনৈতিক সূতিকাগার। ১৯৬৬ সালে শেখ মুজিব ও তাজউদ্দিন আহমদ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহণ করে ৬ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করলে পাকিস্তান সরকার নেতা-নেত্রীদের গণহারে কারাগারে নিক্ষেপ করে। আত্মঘাতী কেন্দ্রীয় সরকার শেখ মুজিবকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আখ্যা দিয়ে শেষ দফায় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় তাঁকে নিঃশ্বেষ করে দেবার পরিকল্পনা হাতে নেয়। ছাত্র নেতারাও পর্যায়ক্রমে কারাগারে আশ্রয় লাভ করেন। অপরদিকে ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে গণতন্ত্র উদ্ধারে জোরদার প্রচেষ্টা চলতে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ডাকসু হয়ে উঠে আন্দোলনের মধ্যমনি। মৌলিক গণতন্ত্রের গতিতে পালাক্রমে বিভিন্ন হল থেকে পর্যায়ক্রমে ডাকসুর প্রতিনিধিত্ব করার সুবাদে আমার দেখা নেতৃত্বে রাশেদ খান মেনন, ফেরদৌস আহমদ কোরেশী, মালেকা বেগম, তোফায়েল আহমদ প্রমুখ নায়ক হয়ে উঠেন। ১৯৭০-৭১ এর ডাকসু নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে আ.স.ম আবদুর রব বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলাভবন চত্বরে ২ মার্চ গণবিপ্লবের ধারা বদলে দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানকে নতুন দিগন্তে পৌঁছে দেন।
১৯৭০ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। মার্চ মাসের নির্ধারিত সময়ে সংসদ অধিবেশনে বসার প্রস্তুতি নেয়াকালে ১৯৭১-এর ১ মার্চ জেনারেল মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান সংসদ অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। আত্মঘাতী ঘোষণার প্রতিবাদে ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ডাকসু প্রতিবাদ সভা আহ্বান করে। গণআন্দোলন শক্তিশালী করার প্রত্যয়ে ৩ মার্চ ছাত্রলীগ পল্টন ময়দানে ঐতিহাসিক মহাসভার আহ্বান করে। ২ মার্চ ডাকসু সহ-সভাপতি আ.স.ম. আবদুর রব, ডাকসু সাধারণ সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস মাখন, ছাত্রলীগ সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী ও ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শাজাহান সিরাজ, বটতলার সভায় সেদিন জ্বালাময়ী বক্তৃতা করেন। বটতলায় মঞ্চ না থাকায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলাভবনের দক্ষিণ-পশ্চিম গাড়ি বারান্দার ছাদ মহাসভার মঞ্চ মনোনীত হয়। পাকিস্তানের জাতির পিতা কায়েদে আজমের ছবিতে আগুন দেয়ার পর শাজাহান সিরাজ স্বাধীনতার ঘোষণা বাণী পাঠ করেন। অতঃপর, শিব নারায়ণ দাসের নকশাকৃত বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন আবদুর রব। পাকিস্তান ভাঙ্গার দুঃসাহসিক সভামঞ্চে লেখকের উপস্থিতি সেদিন বাংলাদেশের স্থানীয় মন্ডলীকে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনে জড়িয়ে ফেলার পথ সুগম করে। যে কারণে লেখকের জন্মগ্রাম গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ থানাধীন রাঙ্গামাটিয়া খ্রিস্টান ধর্মপল্লীটি কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টিতে পাকিস্তান বিরোধী বলে চিহ্নিত হয় এবং ২৬ নভেম্বর পাকবাহিনী গ্রামটিতে হামলা করলে ১৩৭টি বাড়ি ভস্মস্তূপে পরিণত হয়। হানাদররা সেদিন ১৭ জনকে হত্যা করে এবং ১৪ জনকে গুলিবিদ্ধ করে আহত করে।
৩ মার্চ, পল্টন ময়দানে ছাত্রলীগের প্রতিবাদ সভায় বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা ঘোষণা করা হয়। আওয়ামী লীগ আয়োজিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐতিহাসিক জনসভায় ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ উপস্থিত জনতার স্বতঃস্ফূর্ত ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বাংলার আকাশ-বাতাস সেদিন বিপ্লবের বারুদে উত্তপ্ত করে তোলে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ঘোষণায় বাংলার সাধারণ মানুষ মুক্তি পাগলে পরিণত হয়। একই সাথে গোটা দেশের রাষ্ট্রীয় প্রশাসনযন্ত্র স্থবির হয়ে পড়ে। ছাত্রদের স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদই অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। অতঃপর, ছাত্র নেতাদের নির্দেশে ২৩ মার্চ, গণপ্রজাতন্ত্র দিবসে ঢাকাস্থ সকল কূটনৈতিক ভবনে, বিপ্লবী পতাকা উত্তোলন করা হয়। একই সাথে সরকারি প্রহসন নাটকের সর্বশেষ যাত্রায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধু-ভুট্টোর সমঝোতার বৈঠক আরম্ভ হয়। ২৫ মার্চ বিকেলে চূড়ান্ত বৈঠকের ব্যর্থতার বার্তা নিয়ে পাকিস্তানি নেতৃবৃন্দ ঢাকা ত্যাগ করলে রাতের আঁধারে সেনাবাহিনী ছাত্র-জনতা, নিরীহ ঢাকাবাসী ও পিলখানা বিডিআর এবং রাজারবাগ পুলিশ হেড কোয়ার্টারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। দিবাগত রাতে বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডিস্থ বাসভবন থেকে বন্দি করতে গেলে, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ করে মাতৃভূমিকে শক্রমুক্ত করার ঘোষণা করেন।
মুক্তিযুদ্ধ আরম্ভ হলে পাকবাহিনী, অগণিত নিরীহ সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে। গণহারে লুটপাট ও বাসস্থানে অগ্নিসংযোগ করে সম্পদ বিনাশ করে। দস্যুদের নির্মম আঘাত থেকে কথিত নিরপেক্ষ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ও রক্ষা পায়নি। দেশ, জাতি ও আপনজনদের রক্ষায় অতঃপর, তারাও দলে দলে মুক্তিযুদ্ধে স্বক্রিয় অংশগ্রহণ করে। অধিকাংশ যুবকই ভারতে প্রবেশ করে যুব শিবিরে আশ্রয় গ্রহণ করে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। পেশাদার পাকসেনাদের সাথে হালকা অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের বিজয় অর্জিত হয়।
জাতি স্বাধীনতা লাভ করেছে বটে! স্বপ্নের সোনার বাংলা অদ্যাবধি আমরা গড়তে পেরেছি কি-না, এ নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। ১৯৭২ সালে রমনা আর্চবিশপ ভবন চত্বরে সম্মিলিত খ্রিস্টীয় সমাজের পক্ষে প্রথমবার স্বাধীনতা দিবস উদযাপনকালে তৎকালীন আইনমন্ত্রী ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ভূমিকা তুলে ধরার উদ্দেশ্যে মি. টি,ডি, রোজারিও এবং এ নিবন্ধের লেখক চিত্ত ফ্রান্সিস রিবেরূকে বক্তব্য প্রদানের সুযোগ দেয়ায়, ‘মুক্তিযুদ্ধে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ভূমিকা’ ব্যাখ্যা করি। আমি নিজে বাঙালি খ্রিস্টান ও উপজাতিদের পাশাপাশি ভিনদেশি যাজক, কূটনীতিক ও সাহায্য সংস্থার অবদানসহ অ্যাংলো পাকিস্তানিদের ভূমিকা বিশ্লেষণ করেছিলাম। স্থানীয় মন্ডলীর কর্তৃপক্ষকে ১৯শত খ্রিস্টান মুক্তিযোদ্ধার একটি তালিকাও হস্তান্তর করেছিলাম। স্বীকৃতিবিহীন স্বদেশী খ্রিস্টান বীর সন্তানদের সংখ্যা প্রায় ২২শত হলেও অদ্যাবধি এর কোনো তালিকা প্রস্তুত করা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির সর্ব প্রথম দেশীয় আর্চবিশপ থিওটনিয়াস এ, গাঙ্গুলি সিএসসি ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের একজন সমর্থক এবং অদৃশ্য চালক। সে যুগের সৎ এবং সাহসী, আদর্শবান একজন মহাপুরুষ, খ্রিস্ট্রীয় সম্প্রদায়ের স্বচ্ছ একটি আয়না এবং একজন আদর্শ সমাজ নির্মাতার সীমাহীন সুনাম ছিলো তার। তিনি ছিলেন ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত ভাওয়াল ক্যাথলিক শিক্ষা সংঘ, আঠারো গ্রাম কল্যাণ সমিতি, ঢাকা খ্রিস্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন, বাংলাদেশ (পূর্ব পাকিস্তান) খ্রিস্টান এসোসিয়েশন, সুহৃদ সংঘ, ত্রিবেণী ছাত্র কল্যাণ সংঘ এবং খ্রিস্টান ছাত্র কল্যাণ সংঘের প্রধান উপদেষ্টা এবং পৃষ্ঠপোষক। আর্চবিশপ মহোদয়ের আচরণে এদেশের সাধারণ মানুষ আজীবন তাকে একজন জীবন্ত সাধুর মর্যাদা দিয়েছেন।
লেখক: রাজনীতিক ও কলামিস্ট

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন