বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ আত্মহত্যা করে করেছে বলে জানিয়েছে মৃত্যুর ঘটনায় দুই তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সেই প্রমাণ দেখতে রাজধানীর কুর্মিটোলায় সংস্থাটির কার্যালয়ে গেছেন একদল শিক্ষার্থী।
শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে বুয়েট শিক্ষার্থীরা র্যাবের ছায়া তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে সদরদপ্তরে প্রবেশ করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) মামলার তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সঙ্গে ৩ ঘণ্টা বৈঠক করেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।
বৈঠক শেষে বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, ফারদিনের উদ্ধার আলামতগুলো দেখে মনে হয়েছে প্রায় সবকিছু ঠিক আছে। তবে কিছু জায়গায় গ্যাপ রয়েছে মনে হয়েছে। প্রাইমারি গ্যাপ হলো যে ব্রিজে নামিয়ে দেয়া হয়েছে সেই ব্রিজে কীভাবে গেলো কার সঙ্গে গেলো।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আলামতগুলো আমাদের দেখানো হয়েছে। এগুলো আমাদের কাছে প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে। আমাদের পয়েন্টগুলো ডিবিকে জানিয়েছি। ডিবি আমাদের পয়েন্টগুলো নিয়ে কাজ করবে।
তারা আরও বলেন, লেগুনাচালক নাকি বলেছেন, ফারদিনের সঙ্গে আরেকজন ছিলেন। তাহলে আরেকজন কে ছিলেন? এ বিষয়টি ক্লিয়ার না। এছাড়া বাকি প্রমাণাদি মোটামুটি ডিবি কংক্রিট দেখিয়েছে। ডিবির কাজের ধরন দেখে আমরা মোটামুটি সন্তুষ্ট।
আত্মহত্যার বিষয়টি আপনারা ক্লিয়ার হয়েছেন কি না- জানতে চাইলে শিক্ষার্থীরা বলেন, আত্মহত্যার বিষয়টি তারা সেভাবে ইনফরমেশন দেখায়নি। ভবিষ্যতে এই জায়গাতে (আত্মহত্যা) ডিবির কাজ করতে পারে। ডিবিও বলেছে তারা আত্মহত্যার মোটিভ নিয়ে কাজ করবে।
শিক্ষার্থীদের পরবর্তী কার্যক্রম কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে ফারদিনের সহপাঠীরা বলেন, আমরা বুয়েটে গিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে মিডিয়াকে জানিয়ে দেবো।
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফারদিন হত্যার বিষয়ে ডিবির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পূর্বঘোষিত প্রতিবাদ সমাবেশ আপাতত স্থগিত করে ডিবি কার্যালয়ে যান বুয়েট শিক্ষার্থীরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন