ইউরোপিয় ইউনিয়নে (ইইউ) দেশের পোশাক রফতানিতে ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭ দশমিক ৮১ বিলিয়ন মার্কিন থেকে ৯ দশমিক ০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন বিজিএমইএয়ের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল। ইপিবি’র পরিসংখ্যান অনুসারে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বরে বৃহৎ দেশগুলোতে রফতানিতে উৎসাহব্যঞ্জক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। উল্লেখিত সময়ের মধ্যে ইউরোপিয় ইউনিয়নে দেশের পোশাক রফতানিতে ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭ দশমিক ৮১ বিলিয়ন মার্কিন থেকে ৯ দশমিক ০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে সবচেয়ে বড় বাজার, জার্মানিতে পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি ২ দশমিক ৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। স্পেন এবং ফ্রান্সেও রফতানি বেড়েছে যথাক্রমে ১৯ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং ৩৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ইউরোপিয় ইউনিয়নের অন্যান্য প্রধান দেশগুলো, যেমনÑ ইতালি, অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডস এবং সুইডেনে রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ৫০ দশমিক ৯৫ শতাংশ, ৪৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ, ৩৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং ২২ দশমিক ৯০ শতাংশ। অন্যদিকে, উল্লেখিত সময়ের মধ্যে পোল্যান্ডে বছরওয়ারী রফতানিতে ১৯ দশমিক ৬১ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
উল্লেখিত সময়ের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানি ছিল ৩ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার কারণে বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ০৭ শতাংশ। এছাড়াও, যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় রফতানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যথাক্রমে ১১ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং ৩০ দশমিক ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে, অপ্রচলিত বাজারে রফতানি ২ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ৩ দশমিক ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
জুলাই-নভেম্বর ২০২২-২৩ সময়ে প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে, জাপানে আমাদের রফতানি ৫৯৭ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছে বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৮ দশমিক ১১ শতাংশ। উচ্চ প্রবৃদ্ধিসহ অন্যান্য অপ্রচলিত বাজারগুলো হলো মালয়েশিয়া ১০০ দশমিক ২১ শতাংশ, মেক্সিকো ৪৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ, ভারত ৪৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ, ব্রাজিল ৪৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়া ৩০ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন