নাগরিক সেবার ক্ষেত্রে সহজ গণপরিবহন ও উন্মুক্ত স্থানের পর্যাপ্ততা জরুরি বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। এ সংক্রান্ত চারটি সূচকের মধ্যে তিনটিতে দেশের অন্যান্য নগরীর তুলনায় কিছুটা হলেও এগিয়ে আছে সিলেট। তবে অপর একটি সূচকে সিলেটসহ দেশের কোনো শহরের অবস্থানই ভালো নয়।
জাতিসংঘের মানববসতি সংস্থার (ইউএন হ্যাবিটাট) ওয়ার্ল্ড সিটিজ রিপোর্ট ২০২২ প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। গণ পরিবহনের সহজ প্রাপ্যতা ও উন্মুক্ত স্থানের পর্যাপ্ত তাকে প্রাধান্য দিয়ে প্রতি বছরই নাগরিক সুবিধার এই সূচক প্রকাশ করে ইউএন হ্যাবিটাট।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুসারে, নগরীতে ‘হাঁটার দূরত্বে উন্মুক্ত স্থান’ প্রাপ্যতায় সিলেটের অবস্থান তৃতীয়। সিলেটের ৭১.৩ শতাংশ বাসিন্দা পাচ্ছেন এই সুবিধা। এক্ষেত্রে শীর্ষে থাকা রাজশাহীতে ৮৩.৬ শতাংশ, বগুড়ায় ৭৯.৮ শতাংশ, খুলনায় ৬৫.৩, চট্টগ্রামে ৬৪.৮, বরিশালে ৫৯.৬, ঢাকায় ৩১.৪, ময়মনসিংহে ২৯.৬, গাজীপুরে ২৬.৮ এবং কুমিল্লায় ২৫.৬ শতাংশ নাগরিক পাচ্ছেন এই সুবিধা।
গণপরিবহনের সহজ প্রাপ্যতায় ‘হাঁটার দূরত্বে গণপরিবহন পায়’ এমন সূচকে দেশের দশটি বড় শহরের মধ্যে সিলেটের অবস্থান পঞ্চম। এক্ষেত্রে খুলনার ৬৮.৩ শতাংশ, চট্টগ্রামের ৬২ শতাংশ, রাজশাহীর ৫৯.৭ শতাংশ ও বরিশালের ৫৮.৬ শতাংশ বাসিন্দা ্ও সিলেটের ৫৬.৩ শতাংশ বাসিন্দা হাঁটার দূরত্বে গণ পরিবহন সুবিধা পাচ্ছেন। এ হার ঢাকায় ৪৪.৮ শতাংশ, বগুড়ায় ৩৭.৪ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৩৫.৪ শতাংশ, গাজীপুরে ২২ শতাংশ এবং কুমিল্লায় ১৯.৯ শতাংশ। ‘নগরে রাস্তার জন্য বরাদ্দ স্থান’ সূচকে সিলেটের অবস্থান চতুর্থ। এখানে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ স্থান বরাদ্দ আছে রাস্তার জন্য।
এই সূচকে ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ স্থান নিয়ে শীর্ষে আছে চট্টগ্রাম। এ ছাড়া ঢাকায় ১২ দশমিক ২ শতাংশ, খুলনায় ১০ দশমিক ৫ শতাংশ, বগুড়ায় ৭ দশমিক ৭ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ, রাজশাহীতে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ, কুমিল্লায় ৫ দশমিক ৫ শতাংশ, গাজীপুরে ৫ দশমিক ২ শতাংশ এবং বরিশালে ৪ দশমিক ১ শতাংশ স্থান বরাদ্দ।
‘নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত স্থান’ সূচকে সিলেটসহ দেশের বড় শহরগুলোর কোনোটার অবস্থানই আশাব্যঞ্জক নয়। ইউএন হ্যাবিটাটের সূচকের তথ্য বলছে, এই সূচকে ষষ্ঠ অবস্থানে সিলেট। এখানে মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশ স্থান নগরবাসীর ব্যবহার যোগ্য উন্মুক্ত স্থান হিসেবে বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়া সূচকটিতে শীর্ষে থাকা রাজশাহীতে ২ দশমিক ১ শতাংশ, বগুড়ায় ১ দশমিক ৯, খুলনায় ১ দশমিক ৬, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় ১ দশমিক ৪, ঢাকায় ১ দশমিক ৩, ময়মনসিংহে ০ দশমিক ৫ শতাংশ গাজীপুরে ০ দশমিক ৭ এবং বরিশালে ১ শতাংশ স্থান নগরবাসীর ব্যবহারযোগ্য উন্মুক্ত স্থান হিসেবে বরাদ্দ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন