বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুষ্টিয়ায় ইট ভাটায় অবাধে পুড়ছে কাঠ, প্রশাসন নীরব

স্টাফ রিপোর্টার, কুষ্টিয়া থেকে : | প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১৬টি ইট ভাটায় প্রকাশ্যে চলছে কাঠ পোড়ানোর মহোৎসব। সেই সাথে চলছে অবৈধ ভাবে ইট ভাটার ব্যবসা। হুমকিতে লোকালয় ও কৃষিজমি। এদিকে কুমারখালী উপজেলায় ৭টি ও দৌলতপুরে কয়েকটি অবৈধ ইট ভাটায় অভিযান পরিচালিত হলেও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার একটি ভাটাতেও এখনো কোন প্রকার অভিযান পরিচালিত হয়নি।

ঝুঁকিপূর্ণ ও বেপরোয়া ইট ভাটার ব্যবসা প্রসঙ্গে কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদফতরের উপ পরিচালক মোহাম্মদ আতাউর রহমান জানান, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১৬টি ইট ভাটার মাত্র ১টি বৈধ। অবৈধ ১৫টি ভাটা নষ্ট করেছে অন্তত ২০/২২টি বিস্তীর্ন ফসলের মাঠ। নামমাত্র কয়লার ভাটা থাকলেও বাকিসব চলে কাঠ পুড়িয়ে, কাটা হয় ফসলি মাটি। কোন কোন উদ্যোক্তা কয়লার ভাটা বন্ধ রেখে লাগামহীন চালাচ্ছেন গাছ পোড়ানোর মহোৎসব। ইটের ভাটাতেই বসানো হয়েছে কাঠ কাটা কল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভাটা মালিক জানান, কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ১৬টি ইট ভাটার সব কয়টি অবৈধ। কোন ভাটার ইট পোড়ানোর লাইসেন্স নেই। ভাটা মালিক সমিতি হাই কোর্টে একটা রীট ফাইল করেই ইট পোড়াচ্ছে। তবে চলতি মৌসুমে ৭ হাজার টাকা টন কয়লা ৩০ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে বলে কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরী করছে। তারা বলেন স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই ইট পোড়াচ্ছি। প্রশাসনের সাথে একটু ঝামেলা হলেই তারা মাঝে মধ্যে ভাটায় অভিযান পরিচালনা করে। তবে সব ভাটায় অভিযান চলেনা। একারনেই প্রকাশ্যে ভাটাগুলোতে অবাধে কাঠ পোড়াচ্ছে। অবৈধভাবে আবাদি জমির পাশে ভাটা তৈরী হওয়ায় ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। ভাটার কালো ধোয়ায় পরিবেশের ক্ষতির পাশাপাশি নানা ধরনের রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পরিবেশ অধিদফতরের তথ্য মোতাবেক, কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ১টি বৈধ ভাটা রয়েছে। বাকিগুলো অবৈধ। অবৈধ সব ভাটাগুলো সামষ্টিক অর্থনীতি ও পরিবেশের ভারসাম্যে, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চলছে। যেখানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বিত্তিপাড়া, ঝাউদিয়া, বটতৈল, লক্ষীপুর, জুগিয়া-বারখাদা এলাকার বিভিন্ন ইটের ভাটায় সরেজমিনে কাঠ পুড়তে দেখা গেছে। মজুদ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ কাটা গাছ। এসব ইট ভাটা গড়ে তোলা হয়েছে ফসলের ক্ষেতেই।

জনৈক এক ভাটা মালিক গলা জোড় দিয়ে বলেন, আমার কোন কাগজপত্র নাই এভাবেই চালিয়ে যাচ্ছি, ব্যবসা চালাতে কোন সমস্যা হয়না। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই ভাটা পরিচালনা করছি। কুমারখালীর ৭টি ভাটায় অভিযান চালানোর পর কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভাটাগুলো অভিনব কায়দা অনুসরণ করে চলেছে। ভাটা মালিকরা তাদের ক্রয়কৃত কাঠ ভাটার আশপাশের গোপন জায়গায় মজুদ করে রাখছেন।

কুষ্টিয়া জেলা পরিবেশ অধিদফতরের উপ পরিচালক মোহাম্মদ আতাউর রহমান জানান, সকল ইট ভাটা মালিকদেরকে নোটিশ করা হয়েছে তারা যেন অবৈধভাবে বন উজার করে কাঠ দিয়ে ইট না পোড়ায়। ঢাকাতে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। ম্যাজিষ্ট্রেট আসলেই ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
জুয়েল খান ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৩:৪৫ এএম says : 0
সঠিক জতগুলো ভাটা আছে তারমদ্ধে খারাপের তালিকায় একমাত্র মহিদুল গাং তাদের কারনে নস্ট হচ্ছে জুবো সমাজ ঢংস হচ্ছে এলাকার পরিবেশ নস্ট হচ্ছে রাস্তা তারিই ডামটাকের কারন
Total Reply(0)
জুয়েল খান ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৩:৪৫ এএম says : 0
সঠিক জতগুলো ভাটা আছে তারমদ্ধে খারাপের তালিকায় একমাত্র মহিদুল গাং তাদের কারনে নস্ট হচ্ছে জুবো সমাজ ঢংস হচ্ছে এলাকার পরিবেশ নস্ট হচ্ছে রাস্তা তারিই ডামটাকের কারন
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন