সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সড়ক দুর্ঘটনায় যেভাবে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, তার ধরন দেখলে মনে হবে, দৈবক্রমে খুব কমই দুর্ঘটনা ঘটছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনার পেছনে মানুষের হাত রয়েছে। জেনেশুনে এবং ইচ্ছাকৃত ভুল রয়েছে। এই জেনেশুনে এবং ইচ্ছাকৃত ভুল করছে গাড়ি চালকরা। আরেকটু গোড়ার দিকে গেলে, এই ভুল করছেন পরিবহন মালিক এবং আরও গভীরে গেলে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। গাড়ি চালকদের বেপরোয়া মনোভাব ও অদক্ষতা তাদের জানাশোনার মধ্যেই রয়েছে। পরিবহন মালিকরাও জ্ঞাতসারে অদক্ষ চালকদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন। অন্যদিকে, সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগে উদাসীনতা ও শৈথিল্য রয়েছে। কাজেই দুর্ঘটনা যে শুধুই দুর্ঘটনা, এতে মানুষের হাত নেই-এটা এখন আর বলা যাচ্ছে না। জানার মধ্যে থেকেই দুর্ঘটনা ঘটছে। যাত্রীদের যানবাহনে উঠিয়ে মৃত্যুপথযাত্রী করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ওভারটেকিং ও ফিটনেসবিহীন গাড়িকে দায়ী করার পাশাপাশি চলন্ত অবস্থায় চালকের মোবাইলে বা হেডফোনে কথা বলা, মাদকসেবন করে গাড়ি চালানো, মহাসড়ক ও রেলক্রসিংয়ে ফিডার রোডে যানবাহন উঠে পড়া, রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা অবৈধ দখল, রাস্তার মাঝ দিয়ে পথচারিদের বিশৃঙ্খল পারাপার উল্লেখ করেছেন। বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, অধিকাংশ মহাসড়কের পাশে রয়েছে বাজারসহ নানা স্থাপনা। তার উপর মহাসড়কে চলছে ধীর গতির যানবাহন। নসিমন, করিমন, ভটভটিসহ বিভিন্ন যানবাহন যা মহাসড়কে চলার কথা নয়। বিশ্বের কোনো দেশে মহাসড়কে এমন অরাজক পরিস্থিতি রয়েছে কিনা, জানা নেই। এ থেকে বুঝতে অসুবিধা হয় না, জেনেবুঝেই দুর্ঘটনা ঘটছে, ঘটানো হচ্ছে এবং ঠেলে দেয়া হচ্ছে। গাড়ি চালকের অদক্ষতা, বেপরোয়া মনোভাব তো রয়েছেই, এছাড়া মহাসড়কের যে চরিত্র থাকা প্রয়োজন তার কোনো বলাই না থাকার কারণেও দুর্ঘটনা ঘটছে।
দুই.
সমাজ ও পরিবার এমন একটা সময় অতিক্রম করছে, যেখানে সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধের অবক্ষয় চলছে। একের পর এক অনাকাক্সিক্ষত ও অনৈতিক ঘটনা ঘটছেু, মানুষ খুন হচ্ছে। আপন মানুষ খুনি হয়ে উঠছে। যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করবে, তাদের একটা শ্রেণীও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় মনুষ্যসৃষ্ট এক ধরনের বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সমাজ ও পরিবার অস্থির হয়ে উঠেছে। যেসব ঘটনা ঘটছে, এগুলো কোনভাবেই দুর্ঘটনা নয়। জেনেবুঝেই করা হচ্ছে। খুনি কিভাবে খুন করেছে, তা যেভাবে নিঃসংকোচে অবলীলায় বর্ণনা করে, তা যে জেনেবুঝে করেছে, বুঝতে অসুবিধা হয় না। একইভাবে সড়কে সেসব দুর্ঘটনা ঘটছে, সেগুলোকেও এখন আর শুধু দুর্ঘটনা বলা যায় না। বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষণায় বলা হয়েছে, গত এক যুগে ৫০ হাজারের বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ৯১ শতাংশই হয়েছে অতিরিক্ত গতি ও চালকের বেপরোয়া আচরণের জন্য। এসব দুর্ঘটনায় মারা যায় ৬০ হাজারের বেশি মানুষ। দুর্ঘটনার বেশিরভাগই ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কগুলোতে। এর অর্থ মহাসড়কগুলো যেন একেকটি মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। বেশিরভাগ দুর্ঘটনার পেছনে রয়েছে চালকদের বেপরোয়া আচরণ। নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের একাধিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, অতিরিক্ত গতি ও বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানোর চারটি বড় কারণ হচ্ছে, চালকের প্রশিক্ষণের অভাব, স্থায়ী নিয়োগের বদলে যাত্রার ওপর বেতন নির্ধারণ, শাস্তির অপ্রতুলতা এবং হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্বে অবহেলা। এসব কারণ দূর করা যায়, ঠেকানো যায়, যদি সংশ্লিষ্টরা সচেতন হন, দুর্ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে দায় না সারেন এবং দুর্ঘটনার কারণগুলো দূর করার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। দুর্ভাগ্যের বিষয়, বড় ধরনের কোন ট্র্যাজিক ঘটনা ঘটলেই আমরা কেবল তা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ থেকে শুরু করে কারণ ও প্রতিকার নিয়ে নানা কথা বলি। বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন সমাধানের পথও বাতলে দেন। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নড়েচড়ে বসে। সরকার তদন্ত কমিটি করে। সেসব রিপোর্ট এক সময় ডিপ ফ্রিজে চলে যায়। কখনো কখনো নিহতদের পরিবারকে কিছু ক্ষতিপুরণ দিয়ে দায় সারা হয়। অথচ দুর্ঘটনার যেসব কারণ উঠে আসে এবং এর জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না।
তিন.
সড়ক দুর্ঘটনায় একটি পরিবারের উপার্জনক্ষম কোন সদস্য মৃত্যু বা পঙ্গুত্বের শিকার হলে সে পরিবারটি কি শোচনীয় ও অশেষ দুর্ভোগের মধ্যে পড়ে, তা তারা ছাড়া আর কারো পক্ষে উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। আমরা দূর থেকে দুঃখ ও শোক প্রকাশ করা ছাড়া কিছু করতে পারি না। পুরো পরিবারটিই যে ধ্বংস হয়ে গেল, তা গভীরভাবে চিন্তা করি না। বিগত বছরগুলোতে সড়ক দুর্ঘটনায় যেসব মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তাদের পরিবার কি অবস্থায় আছে, তা কি আমরা কেউ জানি? যেসব মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে, তাদের পরিবারগুলো কি অবস্থায় রয়েছে, তাও তো আমরা জানি না। পরিবারগুলোর খোঁজও কেউ নিচ্ছে বলে মনে হয় না। অথচ রাষ্ট্রের মানবিক দায়িত্ব পরিবারগুলোর খোঁজ নেয়া এবং তারা যে ধ্বংস স্তুপে পরিণত হয়েছে, তা উপলব্ধি করে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া। সরকারি হিসাবে, সড়ক দুর্ঘটনায় দেশে প্রতিদিন গড়ে ৮ জন মানুষ মারা যায়। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে ৩০ জন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে ৪৮ জন। পুলিশের হিসাব অনুযায়ী, বছরে ৩ হাজার, বিশ্বব্যাংক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে ১২ হাজার এবং অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) হিসাবে ১৮ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে। মৃত্যুর এই যে মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে, এর রাস টেনে ধরার কোন কার্যকর উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। উদ্যোগ যদি থাকত, তবে যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাব অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৭ শতাংশ পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যুর হারটি কমিয়ে আনা যেত। অনেক পরিবার নিঃস্ব ও ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পেত। বলা বাহুল্য, সড়ক দুর্ঘটনায় শুধু একটি পরিবারের একজন উপার্জনক্ষম ব্যক্তিরই মৃত্যু হয় না, পুরো পরিবারটিকেও বিপন্ন অবস্থার মধ্যে ফেলে দেয়। এভাবে অভিভাবকহীন কত পরিবার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, তার খবর কখনোই পাওয়া যায় না। এ নিয়ে কোন পরিসংখ্যানও করতে দেখা যায় না। দুর্ঘটনার শিকার পরিবারগুলো সমাজে বা রাষ্ট্রের কি প্রভাব ফেলছে তারও হিসাব করা প্রয়োজন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় আহত-নিহতদের শতকরা ৭৩ ভাগ উৎপাদনশীল খাতের সাথে জড়িত। সরকারি হিসাবে, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিবছর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১ থেকে ২ শতাংশ ক্ষতি হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের এক নেতা বলেছিলেন, ‘এর দায় সরকারেরও আছে। মানছি, চালকদের প্রশিক্ষণের অভাব আছে। তাহলে সরকার কেন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে না? হাইওয়ে পুলিশের তো যন্ত্র আছে। তারা ব্যবস্থা নেয় না কেন? আসলে চালকরা মুনাফাবাজির শিকার।’ তার কথার সূত্র ধরেই বলা যায়, সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সরকারের নিশ্চয়ই দায় রয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো যদি চালকদের ডাটাবেজ তৈরি করে যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে, তাহলে দুর্ঘটনার হার অনেক কমে আসত। হাইওয়ে পুলিশ যদি তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করত তবে, গাড়ি চালকরাও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাতে পারত না। অথচ মোটরযান আইনে জাতীয় মহাসড়ক এবং শহর ও লোকালয়ের জন্য আলাদা গতিসীমা রয়েছে। মহাসড়কে বাস, কোচ ও পিকআপের সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ঘন্টায় ৫৫ কিলোমিটার, ভারী ট্রাক ও লরির গতিবেগ ৫০ কিলোমিটার। ট্রাক্টর ও অন্যান্য ভারী যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা ৩০ কিলোমিটার। ব্যক্তিগত গাড়ির সার্বোচ্চ গতি ১১০ কিলোমিটার। অন্যদিকে শহর ও লোকালয়ে বাস, কোচ, পিকআপ, ভারী ট্রাক, লরির সর্বোচ্চ গতিসীমা ৪০ কিলোমিটার। ট্রাক্টর ও ভারী যানবাহন ২০ কিলোমিটার এবং ব্যক্তিগত গাড়ি ৫০ কিলোমিটার। মহাসড়ক ও শহরের যানবাহনের গতির দিকে তাকালে গতিসীমার এ আইন যে কেউ মানছে না বা কর্তব্যরত ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশ মানানোর কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না, তা যে কেউ বুঝতে পারে। হাইওয়ে পুলিশ বরাবরই বলেছে, ‘অতিরিক্ত গতি মাপার যন্ত্র হাইওয়ে পুলিশের সব স্থানেই আছে। গতি না মানার দায়ে প্রতিদিনই মামলা দেয়া হয়।’ তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, বেপরোয়া গতি কমছে না কেন? তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না কেন? সমস্যা কোথায়? বাস-ট্রাকের অনেক চালক বলেছে, তাদের প্রায় সব চালকই ট্রিপ অনুযায়ী মালিকের কাছ থেকে টাকা পায়। তারা মাসিক বেতনভুক্ত নয়। এজন্য ট্রিপ বাড়ানোর জন্য পথে গতি বৃদ্ধি করে পাল্লা দিয়ে গাড়ি চালানো হয়। এতেই দুর্ঘটনা ঘটে। অর্থাৎ ট্রিপ বাড়িয়ে বাড়তি রোজগারের জন্য তারা শুধু নিজের জীবনের ঝুঁকিই নিচ্ছে না, যাত্রীদের জীবনও ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। কোন সভ্য দেশে এ ধরনের আত্মঘাতি প্রতিযোগিতা চলে কিনা, জানা নেই।
চার.
চালকদের বেপরোয়া মনোভাব, অদক্ষতা, প্রশিক্ষণের অভাব, মাদকাসক্তি, মোবাইলে কথা বলা, জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, সড়কের ত্রুটি ও যথাযথ সংস্কারের অভাব, আইনের কার্যকর প্রয়োগ না হওয়াÑএসব কারণেই বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটছে। এসব কারণ দূর করতে পারলেই কেবল দুর্ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলা যেতে পারে। কাজেই শনাক্তকৃত কারণ দূর করতে এবং পরিবহন খাতে নিয়ম-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের বিকল্প নেই। প্রায়ই সড়ক ও মহাসড়কে নামকাওয়াস্তে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে যানবাহন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। তারপর আর দেখা যায় না। এই লোক দেখানো কাজের দরকার কি! এটা না করে, মূল জায়গায় হাত দেয়া দরকার। যেসব কারণে ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় নামছে এবং চালকরা বেপরোয়া হচ্ছে, সেগুলো কীভাবে বন্ধ করা যায়, এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া দরকার। ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় নামানো বন্ধ, মহাসড়ক থেকে ধীরগতির যানবাহন তুলে দেয়া এবং চালকদের বেপরোয়া আচরণ কিভাবে বন্ধ করা যায়, এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া দরকার। গোড়ায় গলদ রেখে শুধুমাত্র বিশেষ অভিযানে এর দূরপ্রসারী ফল পাওয়া যাবে না। গণপরিবহণে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য একটি গাড়ির একাধিক মালিকের পরিবর্তে বড় কোম্পানির অধীনে পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে আসা প্রয়োজন। বিশ্বের অনেক দেশেই মালিকদের সমন্বয়ে বড় কোম্পানি গঠন করে পরিবহণ ব্যবস্থা পরিচালনা করা হয়। এতে চালক ও শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ে। পরিবহন খাতেও শৃঙ্খলা ফিরে আসে। সারাদেশের চালকদের সমন্বিত ডাটাবেজ তৈরি করে, তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা জরুরি। এতে চালকদের ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর এবং দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি সড়কের নিয়ম কানুন মেনে চলার জন্য চালক ও যাত্রীদের বাধ্য করতে হবে। বাংলাদেশে শতকরা ৭০ ভাগ যাত্রী সড়ক পরিবহনে যাতায়াত করে। সড়ক পরিবহনে এত যাত্রী খুব কম দেশেই দেখা যায়। দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে সড়ক পরিবহনের উপর থেকে চাপ কমাতে হবে। এজন্য রেল ও নৌপথকে আধুনিক ও গতিশীল করার উদ্যোগ নিতে হবে। রেলকে যাত্রীদের কাছে নিরাপদ, আরামদায়ক ও জনপ্রিয় করে তুলতে হবে। বাংলাদেশে রেলের বিপুল সম্পত্তি ও বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে এবং সেবার মান বৃদ্ধি করে যাত্রীদের রেল ভ্রমণে উৎসাহী করে তোলার উদ্যোগ নিতে হবে। এতে যাত্রীরা যেমন রেল ভ্রমণে আগ্রহী হয়ে উঠবে তেমনি এ খাতটি ব্যাপক লাভজনক হয়ে উঠবে। নৌপথেও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত লঞ্চ ও জাহাজের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং আইনের কার্যকর প্রয়োগ সবসময়ের জন্য নিশ্চিত করতে হবে। রেল ও নৌ এই দুই যাত্রী পরিবহণ উন্নত করলে সড়ক পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাও অনেকাংশে হ্রাস পাবে।
darpan.journalist@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন