শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

টালমাটাল আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরানো জরুরি

ড. মোহা. হাছানাত আলী | প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক সঙ্কটের জন্য শুধুমাত্র কোভিড-১৯ ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দায়ী নয়। এ খাতের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা অনেকাংশে দায়ী। দীর্ঘদিন ধরে এখাতে সংঘটিত অনিয়মের লাগাম টেনে ধরা যায়নি। সম্প্রতি ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে, সবচেয়ে ভালো মৌলভিত্তির ইসলামী ব্যাংক থেকে ভয়াবহ নভেম্বরের ঋণ কেলেঙ্কারি দেশে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। ব্যাংক থেকে নাম ঠিকানাহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৩৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ প্রদানের স্বচ্ছতা নিয়ে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে ব্যাংকিং সেক্টরের ওপর সাধারণ গ্রাহকের আস্থায় চিড় ধরেছে। ব্যাংকগুলো আস্থার সঙ্কটে পড়েছে। অর্থনীতির জন্য তা মোটেই সুখকর নয়। দীর্ঘদিনেও বেসিক ব্যাংকের অর্থ কেলেংকারির কোনো সুরাহা হয়নি। বিচারের আওতায় আসেনি ঋণ জালিয়াতির সাথে জড়িত অভিযুক্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান।

এদিকে নিত্যপণ্যের ঊচ্চমূল্যে ভোক্তাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। প্রান্তজনের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে। মানুষের ব্যয় বেড়েছে কিন্তু আয় বাড়েনি। দিনদিন দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পেলেও বাড়েনি কর্মসংস্থান। মানুষ প্রতিনিয়ত ব্যয় সমন্বয় করে চলতে বাধ্য হচ্ছে। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশও ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দাভাব বিরাজ করছে। আমরা আমদানি করি বেশি। সে তুলনায় রপ্তানি করি অনেক কম। ফলে আমদানির চেয়ে রপ্তানি আয় কম হওয়ায় চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুরু থেকেই বড় অঙ্কের বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। গত অক্টোবর মাস নিয়ে টানা চার মাস বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়তে হয়েছে দেশকে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-আগস্ট-সেপ্টেম্বর-অক্টোবর) মোট বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৫৮ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। এসময় বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যেরও ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যের (ব্যালান্স অব পেমেন্ট) এ তথ্য উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, বর্তমান অর্থবছরের টানা তিন মাসে অর্থাৎ (জুলাই-আগস্ট-সেপ্টেম্বর) বড় অঙ্কের বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দিলেও অক্টোবর মাসে ঘাটতির পরিমাণ কিছুটা কমে আসে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এলসি খোলা নিয়ে নানা পদক্ষেপের কারণে এমন হয়েছে বলে মনে করা হয়। অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করায় ধীরে ধীরে আমদানি ও রপ্তানির ব্যবধান আরো কমে আসতে পারে। তবে এলসি খুলার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর সংরক্ষণশীল নীতি ছোঁ ছোঁ ব্যবসায়ীকে অনেকটা চাপে ফেলেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বাংলাদেশ (জুলাই-অক্টোবর) দুই হাজার ৫৫০ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। একই সময়ে আমদানির বিপরীতে দেশ থেকে মোট এক হাজার ৫৯১ কোটি ৮০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। ফলে আমদানি বেশি ও রপ্তানি কম হওয়ায় মোট আমদানি ও রপ্তানির হিসাবে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৯৫৮ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের গত চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতিও বেড়েছে। এসময়ে অর্থাৎ অক্টোবর শেষে সেবা খাতে দেশের আয় ২৯৭ কোটি ডলার আর ব্যয় হয়েছে ৪৩৩ কোটি ১০ লাখ ডলার। অর্থাৎ সেবা খাতের ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩৬ কোটি ১০ লাখ ডলার। গত ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে এ খাতের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৯৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে চলতি হিসাবের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪৫০ কোটি ১০ লাখ ডলার। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে একই সময়ের প্রথম চার মাস এ ঘাটতির পরিমান ছিলো ৩৮৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরের চার মাসে চলতি হিসাবের ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার।

এদিকে চলতি বছরের শুরু থেকেই দেশে ডলার সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্স কমছে ধারাবাহিকভাবে। ডলার সংকট কাটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার ছেড়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও খুব বেশি সফলতা যে এসেছে তা কিন্তু বলা যাবে না। ডলার সংকট এখনও রয়েছে। এতে রিজার্ভের পরিমাণও কমছে ধারাবাহিকভাবে। গত নভেম্বরের শুরুতে রিজার্ভ ৩৪ দশমিক ৭২ বিলিয়ন থাকলেও নভেম্বরের শেষ দিকে তা কমে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি নেমে আসে। এসব সঙ্কটের মধ্যেই বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান উৎস প্রবাসী আয় ও রপ্তানিতে বড় ধাক্কা লেগেছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে অর্থাৎ জুলাই ও আগস্ট মাসে টানা ২ বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। এর পরের মাস সেপ্টেম্বর থেকে টানা তিন মাস তা কমে দেড় বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে আসে। গত নভেম্বর মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি ডলার ১০৭ টাকা হিসাবে মোট ১৭ হাজার ৬৩ কোটি টাকার বেশি। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, আগস্টে ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার আর অক্টোবরে আসে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। অন্যদিকে আসন্য পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ নিশ্চিতে আমদানিতে সর্বোচ্চ সহায়তা করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য ব্যাংকগুলোকে ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, পেঁয়াজ, খেজুর, ফলমূল এবং চিনিসহ অন্যান্য পণ্যের এলসি সহজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে অপ্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি খোলা প্রায় বন্ধ রয়েছে। তবে রমজানে প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের আমদানি অর্থায়নের ক্ষেত্রে মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার জন্যও পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

দেশের ১১টি বাণিজ্যিক ব্যাংক সম্মিলিতভাবে সেপ্টেম্বরে ৩২,৬০৬ কোটি টাকার মূলধন ঘাটতির মুখোমুখি হয়েছিল, যা বছরের পর বছর ধরে চলা আসা এখাতের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে তাদের ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থাকে তুলে ধরেছে। মূলধন ঘাটতিতে থাকা ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী, জনতা, সোনালী, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক এবং পদ্মা ব্যাংক। ব্যাংকগুলিতে সংঘটিত দুর্নীতি ও অনিয়ম বড় ধরনের মূলধন ঘাটতির প্রাধান কারণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১১টি ঋণদাতার মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সবচেয়ে বেশি ঘাটতি ছিল ১৩,৪৯১ কোটি টাকা । রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২,৮৫১ কোটি টাকা। রাষ্ট্র পরিচালিত রূপালীর ক্ষেত্রে এটি ছিল ২,৩৯০ কোটি টাকা এবং অন্য একটি সরকারি মালিকানাধীন জনতা ব্যাংকের জন্য মূলধন ঘাটতি ২,৩০০ কোটি টাকা। সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জরুরিভাবে ব্যবস্থা না নিলে সমস্যা আরো প্রকট হতে পারে। কারণ, এই ধরনের পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে একটি নেতিবাচক সংকেত পাঠায়। বিদেশি ব্যাঙ্কগুলি সাধারণত ঋণদাতার সাথে কোনও ব্যবসা করার আগে তার মূলধনের ভিত্তি দেখে। বাংলাদেশের পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘বড় মূলধনের ঘাটতি বিদেশি ব্যাংকগুলোর জন্য একটি নেতিবাচক সংকেত দেয়। তাই দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।’ তিনি আর্থিক দুর্নীতি এবং শ্রেণিবদ্ধ ঋণের উচ্চ অনুপাতকে ঘাটতির জন্য দায়ী করেন।

সপ্টেম্বরে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা ব্যাংকিং খাতের মূলধন ভিত্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশের ৬০টি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ সেপ্টেম্বরে রেকর্ড ১৩৪,৩৯৬ কোটি টাকা বেড়ে ১,৪৩৬,২০০ কোটি টাকা হয়েছে। মোট বকেয়া ঋণের ৯.৩৬ শতাংশ খেলাপি হয়েছে। এক বছর আগে খেলাপি ছিল ৮.১২ শতাংশ। ব্যাংকগুলিকে খেলাপি ঋণের বিপরীতে সমপরিমাণ প্রভিশনিং রাখতে হয়। উচ্চ প্রভিশন ব্যাংগুলোতে মূলধন’র ভিত্তিকে দিনদিন দুর্বল করছে। মূলধনের ভিত্তি গত বছরের ডিসেম্বরের তুলনায় সেপ্টেম্বরে হ্রাস পেয়েছে। কারণ, মূলধন পর্যাপ্ততা অনুপাত (সিএআর) ১১.০৮ শতাংশের বিপরীতে ১১.০১ শতাংশে সঙ্কুচিত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশের ব্যাংকিং শিল্পের মূলধনের ভিত্তিও দক্ষিণ এশিয়ার সমকক্ষ দেশগুলির তুলনায় দুর্বল। ২০২১ সালে, পাকিস্তানের ব্যাঙ্কগুলি ১৮.৭ শতাংশের মূলধন পর্যাপ্ততার অনুপাত বজায় রেখেছিল, যেখানে শ্রীলঙ্কায় এটি ছিল ১৬.৫ শতাংশ এবং ভারতে ১৬.৬ শতাংশ। ব্যাংকগুলোর মূলধনের ভিত্তি শক্তিশালী করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর আগে ব্যাংকগুলোতে বিপুল পরিমাণ পুঁজি ঢুকিয়েছিল, কিন্তু উদ্যোগটি সঠিকভাবে কাজ করেনি। তিনি বলেন, ‘কর্পোরেট গভর্নেন্সের অভাব হলো মূলধনের ঘাটতির প্রধান সমস্যা। যদি কেলেঙ্কারি অব্যাহত থাকে, তাহলে মূলধনের ঘাটতির অবস্থার উন্নতি হবে না।’ মূলধনের ভিত্তি শক্তিশালী করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৯ সালের মধ্যে ব্যাসেল-৩ নির্দেশিকা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। ব্যাসেল-৩ হলো ব্যাংকিং সেক্টরের মধ্যে প্রবিধান, তত্ত্বাবধান এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য ২০০৭-০৯ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সঙ্কটের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ব্যাসেল কমিটি অন ব্যাংকিং সুপারভিশন দ্বারা তৈরি করা একটি আন্তর্জাতিকভাবে সম্মত পদক্ষেপ।
২০১৪ সালের বাংলাদেশ ব্যাংকের রোডম্যাপ অনুযায়ী। ব্যাংকগুলিকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সর্বনিম্ন সিএআর ১০ শতাংশ থেকে ১২.৫ শতাংশে উন্নীত করার কথা ছিল। কিন্তু লক্ষ্য পূরণে পিছিয়ে পড়েছে ব্যাংকিং খাত। সামগ্রিকভাবে মোটেই ভালো নেই দেশের ব্যাংকিং খাত। অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা এখাতের সংকটকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশের হাতে গোনা দু’একটি পরিবার বা শিল্পগোষ্ঠী ব্যাংকিং আইনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে একপ্রকার লাগামহীন ঋণ জালিয়াতিতে নিয়োজিত হয়ে পড়েছে। এদিকে পারিবারিক পরিচালকদের ঋণ গ্রহণের সর্বগ্রাসী মনোভাবের কারণে এখাতে শৃঙ্খলা ফেরানো যায়নি। খেলাপি ঋণের সংস্কৃতি গোটা আর্থিক খাতকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। খেলাপি ঋণের মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা এখাতের সংকটকে আরো ঘনীভূত করছে। ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা রোধে স্বাধীন ব্যাংকিং কমিশন গঠন জরুরি। তা না হলে এখাতের শৃঙ্খলা ফেরানো কঠিন হয়ে পড়বে।

লেখক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র অধ্যাপক
drhasnat77@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন