একটি মামলার সাজা হওয়ার অপরাধে মাদারীপুরের কালকিনিতে প্রায় দেড় মাস ধরে কাটা তারের বেড়া দিয়ে ৪ পরিবারকে বন্ধী করে রেখেছে প্রতিপক্ষ। এতে করে ঘর থেকে বেড় হতে না পেরে চরম মানবেতর জীবন-যাপন করেছে ওই পরিবারগুলো।
সরেজমিনে দেখা গেছে এ চিত্র। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন থানা পুলিশ। ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কালকিনি উপজেলার রমজানপুর এলাকার উত্তরচর আইরকান্দি গ্রামের সুজন শিকদার বাদী হয়ে প্রায় ১২ বছর আগে একই এলাকার তাইজুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদারীপুর কোর্টে একটি মারামারি মামলা করেন। এ মামলায় সুজনের পক্ষে স্বাক্ষী দেন একই বাড়ির জাহাঙ্গির শিকদার, মনির শিকদার ও শওকাত শিকদার। তারা এই মামলায় স্বাক্ষী দেয়ার অপরাধে আসামি তাইজুল ইসলামের নেতৃত্বে সালমান ও সাকিল মিলে মামলার স্বাক্ষী জাহাঙ্গির শিকদার, মনির শিকদার, শওকাত শিকদার ও নাসির শিকদারের বসতঘরের চারপাশে কাটা তারের বেড়া দিয়ে আটকে বন্ধি করে রাখে। এতে করে ওই চার পরিবারের ৩৫ জন সদ্য ঘর থেকে বের হতে না পেরে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সুজন বাদী হয়ে কালকিনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে কালকিনি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
শওকাত শিকদার ও নাসির শিকদারের পরিবারের সদস্যরা জানান, আমরা সুজনের মামলার সাক্ষী হওয়ার অপরাধে তাইজুল ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের সকলের বসতঘরের চারপাশে তার কাটা দিয়ে বেড়া দিয়ে আটকে রেখেছে। আমরা ঘর থেকে বের হতে না পেরে মহাবিপদে আছি। আমরা এ বন্ধী দশা থেকে মুক্তি চাই।
অভিযুক্ত তাইজুল ইসলাম বলেন, আমার জমিতে আমি বেড়া দিয়েছি। তাতে কার কি আসে যায়। কালকিনি থানার এসআই মো. রাজিব হোসান জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন