শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

অবৈধ যানে পঞ্চগড়ে জনদুর্ভোগ

মো. সম্রাট হোসাইন, পঞ্চগড় থেকে | প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

অনুমোদনহীন ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত তিন চাকার রিকশাভ্যান, নছিমন-করিমন অবাধে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পঞ্চগড় শহর জুড়ে। এসব অবৈধ যানবাহনের কারণে শহরের সব গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম এমনকি অন্যান্য সড়কেও দেখা দিচ্ছে বিশৃঙ্খলা ও যানজট। দুর্ঘটনাও ঘটছে। এদের চলাচলে পথচারীদের দুর্ভোগ চরমে। কর্তৃপক্ষ বলছে সবার সহযোগিতা থাকলেই শহর যানজটমুক্ত ও চলাচলে শৃঙ্খলা আনা সম্ভব।

সরেজমিনে পঞ্চগড় শহরের চৌরঙ্গী মোড়, ধাক্কামারা গোল চত্তর, বানিয়াপট্টি-সিনেমাহল সড়কে দিনাতিতে দেখা যায়, সড়কের মোড়ে মোড়ে এবং সড়কের ওপর যত্রতত্র ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশাভ্যান রেখে যাত্রী ওঠানো নামানো চলছে। ট্রাফিক আইনকানুনের তোয়াক্কা না করে সড়ক ও মোড়গুলোতে এলোমেলোভাবে ইজিবাইক রিকশাভ্যান রাখা হয়েছে। এর ফলে অন্য যানবাহন এমনকি পথচারীদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে দেখা যায়।
পথচারী গড়েরডাঙ্গা থেকে আসা ইছাহাক আলী, ময়দানদিঘীর মানিকসহ একাধিক ব্যক্তি বলছেন, অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে সড়কে যানজট নিয়মিত হচ্ছে। তাদের দাবি সড়কে ও মোড়ে অবৈধ ইজিবাইকের পার্কিং বন্ধ ও চলাচলে যান সীমিত করলে জনদুর্ভোগ লাগব হবে। মোটরসাইকেল আরোহী ধাক্কামারা এলাকার রসুল বকস মানিক ও রুবেল জানান, শহরে হাজার হাজার ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশাভ্যান এবং নছিমন, করিমন, ভটভটি চলাচল করছে। এতে সড়কে চলাচলে আমরা বিভিন্ন সমস্যায় পড়ছি।

ট্রাক চালক আবু সাঈদ জানান, পঞ্চগড়-টুনিরহাট সড়কটি সরু, তার ওপর দু’পাশে ইজিবাইক দাড়িয়ে থাকলে গাড়ি পার করতে খুব কষ্ট হয়। বড় যানজট সৃষ্টি হয়। এতে অনেক সময় খরচ হয়।

ইজিবাইক চালক মকবুল হোসেন জানান, আমরা শহরে আসতে টোল দেই। সে জন্য খরচ তুলতে যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেয়ার চেষ্টা করি।

অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু জানান, প্যাটেলভ্যান চালিয়ে অভ্যাস। এখন টাকা থাকলেই ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত রিকশাভ্যান নিয়েই সড়কে নেমে পড়েন চলাচলে। অথচ তারা সড়কের শৃঙ্খলা সম্পর্কে কিছুই জানেন না।

পঞ্চগড় ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও মোটরযান) কাজী কামরুল ইসলাম জানান, সড়কে যানজট মুক্ত করতে গেলে আগে শহরে কতগুলো অটোরিকশা, থ্রি-হুইলার প্রবেশ করতে পারবে। সেটা পৌর কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দিলে, আমাদের আইন প্রয়োগ করতে সুবিধা হয়। গাড়ি শহরে প্রবেশ করলেই প্রতিদিন ২০ টাকা করে টোল পাচ্ছে পৌরসভা। এজন্য চালকরা তাদের টাকা তুলতে যেখানে সেখানে থেমে যাত্রী তুলে। সবার সহযোগিতা থাকলেই শহর যানজট মুক্ত করা সম্ভব হয়।

পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন জানান, ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশাভ্যান চালকরা পেটের দায়ে শহরে আসে। তাদের কারণে মাঝে মাঝে আমি নিজে গাড়ি রেখে রিকশায় ওঠে বাড়িতে যাই। তারপরও দেখি বিষয়টা কি করা যায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন