সরকারি নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে জয়পুরহাট আধুনিক সদর হাসপাতালের পাশেই গড়ে উঠেছে অর্ধ শতাধিকের ও বেশি প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সরেজমিনে দেখা গেছে এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই মানহীন ও রোগীরা পাচ্ছেন না কাঙ্খিত সেবা।
কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানগুলো তদারকি বা মান নিয়ন্ত্রণে নেই কোন কার্যকরী পদক্ষেপ। ফলে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। অনুসন্ধানে জানা গেছে, সরকারি হাসপাতাল থেকে এক কিলোমিটার বিশেষ ক্ষেত্রে অর্ধ কিলোমিটারের মধ্যে কোন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে ওঠার কোন সুযোগ নেই। এই নিয়মকে তোয়াক্কা না করেই স্থাপন করা হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানগুলো। এসব প্রতিষ্ঠান বেশিভাগেরই নেই কোন ভৌত সুবিধা প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও প্রয়োজনীয় জনবল কাঠামো।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন ২০১০ অনুযায়ী যেকোনো বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিবন্ধিত হওয়ার আগেই পরিবেশের ছাড়পত্র থাকা বাধ্যতামূলক। জয়পুরহাটের পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, মোহাম্মদ ফারুক হোসেন জানান ছাড়পত্র ছাড়া কোন বেসরকারি ক্লিনিক ও রোগনির্ণয়কেন্দ্র অনুমোদন পেতে পারেনা।
অন্যদিকে গ্রিন জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক, মোহাম্মদ নুরুনন্নবী, হসপিটালের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও ছাড়পত্র নেই এ কথা নিজেই স্বীকার করেন।
আনারকলি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেস্ট করতে আসা জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বাসিন্দা মো. আলাউদ্দিনকে টেস্টের মানের কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমরা এগুলো কিছু বুঝিনা, ডাক্তার দেখে যা বলে সেটাকেই সঠিক মনে করি।
এ ব্যাপারে জয়পুরহাট জেলার সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. ওয়াজেদ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন