ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বেড়েছে সরিষার আবাদ। উপজেলার ১০ ইউনিয়নের মাঠজুড়ে হলুদ রঙ্গের গালিচা বিছিয়েছে সরিষাফুল। বাতাসে ছড়াচ্ছে স্নিগ্ধ সুঘ্রান। ফুলে ফুলে ঘুরছে মৌমাছি। এ বছর চাষীদের কাছে আবাদকৃত সরিষা অত্যধিক গুরুত্ব পাচ্ছে অর্থনৈতিক কারণে। ভোজ্য তেল হিসেবে একসময় ব্যাপকহারে ব্যবহৃত হতো সরিষার তেল। সময়ের পরিক্রমায় সেই জায়গাটি দখল করে নেয় সহজলভ্য এবং দামে সাশ্রয়ী সয়াবিন তেল। বাংলাদেশে বর্তমানে অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে সয়াবিন তেলের বাজার। ক্রমেই বাড়তে বাড়তে এখন তা সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার সাথে সামঞ্জস্যহীন হয়ে পড়েছে। তাই নিজেদের চাহিদা মেটানোর বিকল্প হিসেবে জমিতে সরিষার আবাদ করেন কৃষক। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশাও করছেন তারা। একই আশাবাদের কথা জানিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিসও।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ১ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। চলতি মৌসুমে ১ হাজার ৭১ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ৪ হেক্টর বেশি জমিতে চাষ হয়েছে সরিষার। চলতি মৌসুমে তারাকান্দা উপজেলা ভূমি অফিস থেকে ৪ হাজার ৭৪০ জন কৃষককে বীজ ও সার প্রণোদনা হিসেবে দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক কৃষক ১ কেজি সরিষার বীজ, ১০ কেজি করে এমওপি এবং ডিএপি সার পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
তারাকান্দা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কাওছার আহমেদ খান জানান, তারাকান্দায় চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। ভালো ফলন পেতে আমরা নিয়মিত কৃষকদেরকে পরমর্শ দিচ্ছি। বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।অনেক স্থানে মৌমাছির মাধ্যমে সরিষাফুলের মধুও সংগ্রহ করছেন চাষীরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর তারাকান্দায় বাম্পার ফলন হবে আশা করছি। কোন ইউনিয়নে বেশি সরিষার আবাদ হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান, উপজেলার ঢাকুয়া ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়েই আবাদ হয়েছে সরিষার। অন্যান্য ইউনিয়নগুলোতেও আশানুরূপ আবাদ লক্ষণীয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন