প্রায় দেড় যুগ ধরে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার প্রায় অর্ধশত সড়ক সংস্কার হয়নি। ফলে পিচ ও ইট-পাথর উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বর্ষার দিনে বৃষ্টির পানি জমে বড় বড় গর্তে রূপ নিয়েছে। গর্ত হওয়ায় যত্র-তত্র আটকা পড়ছে বাস, ট্রাকসহ ছোট বড় যানবাহন। রোগী ও গর্ভবতী মায়েদের নিয়ে হাসপাতালে যেতে বিপাকে পড়ছেন স্বজনেরা। দুর্ভোগে পড়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবিরা কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারছেন না। বেহাল সড়কের কারণে তাদের দুর্ভোগ বাড়ছে। চলতি বছরে ভয়াল বন্যায় রাস্তা-ঘাট ভেঙে ক্ষত-বিক্ষত হওয়ায় এসব সড়ক দিয়ে এখন হেঁটে চলা দায়। প্রতিনিয়ত যানবাহন উল্টে ঘটছে প্রাণহানির ঘটনা। এসব সড়ক সংস্কার না হওয়াতে যানবাহন মালিকরা এবছর কয়েকবার পরিবহণ ধর্মঘটের ডাকও দিয়েছিলেন। সময় মত এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে সংস্কার অতি প্রয়োজন মনে করছেন বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুরবাসি।
জানা যায়, বিশ্বনাথ-লামাকাজি সড়ক, বিশ্বনাথ-খাজাঞ্চি সড়ক, পনাউল্লা-কামাল বাজার সড়ক, রাজাগঞ্জ বাজার-খাজাঞ্জি সড়ক, বিশ্বনাথ রাজনগর নোয়াগাঁও টেংরা-লালাবাজার এসব সড়কে এখন ভোগান্তির সীমা নেই। ঢাকা গাবতলী থেকে বিশ্বনাথ কালিগঞ্জ বাজার এলাকায় আসা দুই ট্রাক চালক হোসেন ও মহরম আলী জানান, সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় ট্রাক আটকে গেছে। তুলতে গিয়ে কয়েক ঘণ্টা সময় লেগেছে। এতে যানযটের সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। বিশ্বনাথ লামাকাজি, সিংগের কাছ ও জগন্নাথপুর সড়কের কয়েকজন চালক জানান, সড়ক ভাঙা থাকায় প্রতিদিন গাড়ি মেরামতের কাজ করতে হয়। এতে বাড়তি টাকা ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। আয় কম হয়।
উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাইদ জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ১০৫টি সড়কের তালিকা পাটানো হয়েছে। অনুমোদন আসলে কাজ শুরু হবে। এছাড়া নতুন পুরাতন ৫ থেকে ৭টি সড়কের কাজ চলমান আছে। সিলেট-২ আসন বিশ্বনাথ, ওসমানীনগরের সাংসদ মোকাব্বির খানের সাথে চেষ্টা করেও যোগাযোগের করা যায়নি। তবে, বিশ্বনাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, তার নির্বাচনী এলাকার রাস্তাঘাটের বেহাল দশার কথা জাতীয় সংসদে বার বার আলোচনা করে যাচ্ছেন এবং বিভিন্ন দফতরে গিয়ে বেশ কিছু রাস্তাঘাট, কালভাট, ব্রিজ, স্কুল-কলেজ, মাদরাসা, কাচা সড়ক পাকা করণের কাজ হাতে নিয়েছেন। শিঘ্রই এসব সমস্যা সমাধান হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন