ভোট কারচুপির আশঙ্কায় গাইবান্ধা- ৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামীলীগ নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। রোববার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। একই সাথে তিনি তার জামানত ফেরত প্রদানেরও দাবী জানান। নিশাদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আপেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন।
আগামী ৪ঠা জানুয়ারী’২৩ এ আসনের স্থগিত উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণের নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। এর আগে গত ১২ অক্টোবর উপনির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির কারণে নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
সংবাদ সম্মেলনে এ স্বতন্ত্র প্রার্থী বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতি দিলেও গত ১২ অক্টোবর ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ভোটারদের সাথে উপহাস করেছে কমিশন। বিশেষ এক প্রার্থীর কর্মী ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা জোর-জবরদস্তি, হুমকি-ধামকি ও মারপিট করেছে ভোটার ও অপর প্রতিদ্বন্দ্বীর কর্মীদের। সাধারণ ভোটারদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে নিজেরাই ভোট দিয়েছে। আমার এবং প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীদের উপর আক্রমণসহ নানা অপকর্মের সাক্ষী হয়েছে সাঘাটা-ফুলছড়িবাসী।
দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এরপরেও চিহ্নিত ভোট ডাকাতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন। বরং কিছু নির্বাচন কর্মকর্তা এবং শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। সুতরাং কমিশন ফের ভোটের তফশিল ঘোষণা করে আবার প্রহসন করতে চাচ্ছে। তাই আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোনই সম্ভাবনা নেই। এমতাবস্থায় আমি ভোট বর্জন করে আমার জামানতের টাকা ফেরত পাওয়ার দাবি করছি।
সংবাদ সম্মেলনে সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রুস্তম আলী আকন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য রফিকুল ইসলাম মুকুল, পল্লী চিকিৎসক জয়নাল আবেদিনসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গাইবান্ধা -৫ আসনের সংসদ সদস্য তৎকালীন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী গত ২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন