নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমি রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট করেছি। জনগণের প্রয়োজনে আরও করবো। আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই, মাঠে নেমে কাজ করতে চাই। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপরাজনীতির চর্চা বেশি চলছে। নারায়ণগঞ্জের চিহ্নিত খুনিরা একটি দলের (বিএনপি) নেতৃত্বে চলে এসেছে।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফতুল্লার পূর্ব ইসদাইর যুব সংঘের আয়োজনে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি আগেই শুনেছিলাম ঝামেলা হতে পারে। গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, মানুষও মারা গেছে। নারায়ণগঞ্জেও এই ধরনের খুনিরা একটি দলের (নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি) নেতৃত্বে এসেছে। তারা বিশৃঙ্খলা করতে চায়। আমার উদ্দেশ্য ছিল তারা যেন কোনো সুযোগ কাজে লাগাতে না পারে। তারা নিজেরা বিশৃঙ্খলা করে সরকারের ওপর দায় চাপানোর নীলনকশা নিয়ে এগোচ্ছে। তাই আমি একাই চাষাঢ়ায় গিয়ে অবস্থান নিয়েছি। তারা মিছিল করবে করুক, এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু আমি তাদের ভাষা শালীন করার আহ্বান জানাই।
শামীম ওসমান বলেন, আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম না তখন আমার পরিবারের ওপর নানাভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। আমার পৈতৃক বাড়ি বায়তুল আমানে প্রস্রাব করা হয়েছে, আমার ভাই সেলিম ওসমানের কারখানায় হামলা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা ক্ষমতায় এসে প্রতিশোধ নিইনি। কোনো দলের ওপর আঘাত তো দূরের কথা একটি কথাও বলিনি।
তিনি আরও বলেন, আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। রাজনীতিতে আমার কিছু বাড়তি দায়িত্ব থাকে। আমি আমার নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলব। ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জে মাদক, ইভটিজিংসহ যেসব সমস্যা রয়েছে তা সমাধানে বিভিন্ন দলের ভালো মানুষদের নিয়ে কাজ করতে চাই। যুব সমাজকে বলছি ইভটিজিং প্রতিরোধ, জঙ্গিবাদ, মাদক, সন্ত্রাস প্রতিরোধে এগিয়ে এসে কাজ করতে হবে।
নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী একটি স্কুলের নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে প্রিপারেটরী স্কুলের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের হাজার হাজার শিক্ষার্থীর আবেগ জড়িয়ে আছে। এই স্কুলে আমার স্ত্রীও পড়েছে। স্কুলটির নাম এভাবে হঠাৎ পরিবর্তন করায় অনেকের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। আমি চাই স্কুলের আগের নামটিই রাখা হোক। তবে আমি প্রস্তাব করতে চাই, যার হাত ধরে এই স্কুল পরিচিতি পেয়েছে তিনি হলেন ভাষাসৈনিক আয়েশা জালাল। নাম পরিবর্তন করা হলে আমার প্রস্তাব হলো আয়েশা জালালের নামে রাখা হোক।
অনুষ্ঠানে মো. ইউসুফের সভাপতিত্বে ও সাইফুল খান জীবুর সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপি, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিরীন বেগম, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন