কুমিল্লায় পুলিশের এক এএসআইয়ের সঙ্গে প্রবাসীর দুই সন্তান ও প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় কুমিল্লা নগরীর একটি মিডিয়া সেন্টারে এ অভিযোগ করেন সৌদি আরব ফেরত জয়দুল হোসেন। তিনি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার এলাকার মনজুর আলীর ছেলে। স্ত্রী-সন্তান ও প্রবাসের কষ্টাজিত অর্থ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জয়দুল হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে জয়দুল হোসেন অভিযোগ করেন, তিনি প্রায় ২৯ বছর সৌদি আরবে কর্মরত ছিলেন। এসময় তিনি তার রোজগারের সকল অর্থ স্ত্রী মাহবুবা আক্তার শিল্পী মাহমুদার নামে প্রেরণ করতেন। এসব অর্থে কেনা সম্পদ ও তৈরি করা বাড়ি স্ত্রী শিল্পী নিজের নামে দলিল করে নেন। ২০২০ সালে স্ত্রী শিল্পী বাঙ্গরা বাজার থানায় কর্মরত এএসআই মেহেদি হাসান শিবলির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি তিনি জানতে পেরে ওই বছরের শেষের দিকে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে আসেন। এসময় তিনি তার পাঠানো অর্থ ও কেনা সম্পদের হিসেব চাইলে এনিয়ে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায়ে ২০২১ সালের ৯ মার্চ শিল্পী তার দুই পুত্র সন্তান, অর্থ ও সম্পদের দলিলপত্র নিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে পালিয়ে যান এবং একই বছরের ২৫ মার্চ জয়দুল হোসেনের কাছে তালাক নামা পাঠান। বিষয়টি সুরাহা করা নিয়ে প্রায় দেড় বছর জয়দুল হোসেনকে নানাভাবে হয়রানি করতে থাকে শিল্পীর বাবা-মা। পরে এ বছরের ৮ ডিসেম্বর স্ত্রী শিল্পী ও তার বাবা-মার বিরুদ্ধে কুমিল্লা পুলিশ সুপার বরাবর এবং একই সময়ে পুলিশের এএসআই মেহেদি হাসান শিবলি বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার বরাবর ভুক্তভোগী জয়দুল হোসেন অভিযোগ করেন। দুটি অভিযোগেরই তদন্ত করছে পুলিশ।
এদিকে ওই এএসআইকে মাহবুবা আক্তার শিল্পী বিয়ে করেছেন কিনা মুঠোফোনে জানতে চাইলে এমন প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে তার বিরুদ্ধে জয়দুল হোসেনের আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার স্বামী দেশে আসলে তাকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন