সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার অন্তর্গত শিমুলিয়া ইউনিয়নের মুনসুরবাগ ও আষাড়িয়াটেকি গ্রামে প্রায় রাতেই দু:সাহসিক চুরির ঘটনা ঘটছে। এতে আতংকিত হয়ে পরেছে গ্রামবাসি। নিরব ভুমিকা পালন করছে স্থানীয় প্রশাসন। সংঘবদ্ধ চোরচক্র প্রায় রাতে বাসাবাড়ির দরজার তালা ভেঙে ও কেচি গেট কেটে ভেতরে প্রবেশ করে মালামাল নিয়ে চম্পট দিচ্ছে।
রোববার ভোররাতে মুনসুরবাগে আব্দুল আজিজ খানের বাড়ির দরজার দুটি তালার লক ভেঙে চোরচক্র ভেতরে প্রবেশ করে এলইডি টেলিভিশন, রান্না ঘরের গ্যাস সিলিন্ডারসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে গেছে। একই রাতে পাশের আষাড়িয়াটেকি গ্রামে সহদীবা সরকারের মুাদির দোকান থেকে চুরি হয়েছে ১৫ হাজার টাকার মালামাল। খবর পেয়ে রোববার সকালে আশুলিয়া থানার এসআই মিলন ফকির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই দুই গ্রামে যান। এক মাসের ব্যবধানে গ্রাম দুটিতে একাধিক চুরির অভিযাগ পান তিনি।
আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বিষয়টি জানিয়ে কমিটি করতে বলা হয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সম্মিলিতভাবে পাহাড়া দিয়ে অপরাধী ধরবে।
এরআগে গত ১৯ ডিসেম্বর সোমবার রাতে আষাড়িয়াটেকি গ্রামের তিন বাড়িতে একসঙ্গে চুরি করার চেষ্টা চলে। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরীজীবী রমেশ সরকারের বাসার লোহার দরজার তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে কিছু না পেয়ে পরে চোরদল চলে যায়। গার্মেন্টসে চাকুরীজীবী জীবন সরকারের বাসায় কেচি গেটের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করলে এলাকার লোকজন জেগে উঠলে চোরদল সেখান থেকে চলে যায়। সাধন চন্দ্র সরকারের বাসার তালা ভাঙার চেষ্টা করে চোরেরা। গত ১৬ নভেম্বর বুধবার গাজীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তালা ভেঙে চুরি করার চেষ্টা চলে। গত ১৬ নভেম্বর ওই গ্রামের পাশে জ্ঞান বিকাশ স্কুলের মালিক ইউনুস আলীর মুদি দোকান থেকে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মালামাল চুরি হয়। ১৬ নভেম্বর বুধবার রাতে আমিনুর রহমান খানের বাসায় তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে তছনছ করে এবং ওই বাসার সামনে বৈদ্যুতিক খুটি থেকে একটি ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে যায়। এছাড়া সম্প্রতি খান কলেশ্বরী গ্রাম থেকে আরেকটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার এবং নালারটেক গ্রাম থেকে আরো একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটে। এসব এলাকায় হঠাৎ চুরি বেড়ে যাওয়ায় আতংকিত হয়ে পরেছে গ্রামবাসী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন