জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ফজিলাতুন্নেছা আবাসিক হলে চুরির ঘটনা ঘটেছে। বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলেও হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় অতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে চুরির এ ঘটনা ঘটে। হলের তিনটি রুমের জানালার কাঁচ ভেঙে নগদ অর্থ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র চুরি হয়েছে।
ফজিলাতুন্নেছা হলের আবাসিক ছাত্রী চারুকলা বিভাগের মুমু বলেন, রাত ২টা থেকে আড়াইটার দিকে আমি কাঁচ ভাঙার শব্দ পাই। শীতকালীন বন্ধের কারণে হলে মেয়েরা কম থাকায় আমি ভয় পেয়ে চুপ থাকি। পরে ভোর ৪টার দিকে মাস্টর্সের (৪৫ ব্যাচ) এক ছাত্রী দেখে জানালার পাশ থেকে এক ছেলে তার রুমে টর্চ লাইট মারছে। সে ভয়ে চিৎকার করলে চোর পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমরা আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।
হলের ছাত্রীরা অভিযোগ করেন, চুরির ঘটনা যখন সকালে জানতে পারি তখন হল প্রভোস্ট স্যারকে অনেকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেনি। হলের সিসি ক্যামেরা নষ্ট, হলের সিকিউরিটি গার্ডদের চুরির বিষয়ে বললে তারা রাতে হলের চারপাশ ঘুরে দেখে না। যখনই কোনো সম্যসা নিয়ে হল প্রশাসনকে জানানো হয় তখন প্রশাসন থেকে আমাদের নতুন হলের কথা বলে। কোনো সম্যসার সমাধান করেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফজিলাতুন্নেছা হলের ৩য় বর্ষের (৪৯ ব্যাচের) এক শিক্ষার্থী জানান, আমরা আমাদের হলের ৪৯ ব্যাচের প্রায় ৬০ জন শিক্ষার্থী জায়গা না পেয়ে কোয়ার্টারে থাকি। এছাড়া ২য় বর্ষের (৫০ ব্যচ) শিক্ষার্থীদেরও অন্য দুইটি কোয়ার্টারে থাকতে হচ্ছে। অথচ প্রশাসন বলছে নতুন হলে আবেদনের মাধ্যমে মাত্র ১০০ জন নেবে। এ অবস্থায় ৪৯, ৫০ ব্যাচ ছাড়াও সিনিয়র ব্যাচের শিক্ষার্থীদেরও নতুন হলে ট্রান্সাফারের কথা ভাবছে প্রশাসন। এতে আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। আদও আমাদের সিট সংকটের সমাধান হবে কিনা।
এদিকে, চুরি পরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ফজিলাতুন্নেছা হলের আবাসিক শিক্ষক প্রীতি কণা শিকদার জানান, ছুটিতে আমি ঢাকা এসেছি। এখনো হলে যাওয়া হয়নি। শুনেছি কাচের জানালা ভেঙে চুরি হয়েছে। এ ব্যাপারে হলের ওয়ার্ডেন ও প্রভোস্ট স্যারের সাথে কথা বলবো।
ফজিলাতুন্নেছা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর এটিএম আতিকুর রহমান বলেন, হলে চুরির ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি। আমি এবং হলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনান্য শিক্ষক হলে গিয়েছিলাম। আমরা হলের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার করার বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন