কক্সবাজার জেলা জামায়াতের ২০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় জেলা আমির ও সেক্রেটারি সহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে যানবাহন ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগে মামলাটি করা হয়।
কক্সবাজার সদর থানার উপ-পরিদর্শক এস আই মোহাম্মদ সাঈদ নূর বাদি হয়ে দায়ের করা মামলাটি রোববার ২৫ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় লিপিবদ্ধ হলেও বিষয়টি জানাজানি হয় সোমবার সন্ধ্যায়।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম মামলা লিপিবদ্ধ করার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, গত ২৪ ডিসেম্বর সকালে জামায়াত-শিবিরের ২০০ জন নেতাকর্মী কক্সবাজার শহরের কালুর দোকান গ্যাস পাম্পের সামনে যানবাহন
ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে। পুলিশ ও সাধারণ লোকজন এগিয়ে এলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৫ টি লোহার রড, ১৫ টি কাঠের লাঠি, ১০ টুকরো কাঁচ ও বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ জব্দ করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে আর বিস্তারিত কোন তথ্য দিতে রাজী হননি ওসি।
তবে নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রাপ্ত মামলার এজাহারের একটি কপির অংশ বিশেষ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। যেখানে উল্লেখ্য করা ১৭ আসামিরা হলেন- জেলা জামায়াতের আমির ও হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহমদ আনোয়ারী, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, সহ-সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম নোমান, সাংগঠনিক সেক্রেটারি শামসুল আলম বাহাদুর, শহর শাখার আমির আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সেক্রেটারি রিয়াজ মোহাম্মদ শাকিল, সদর উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা মোস্তাক আহমদ, রামু উপজেলা আমির ফজলুল্লাহ মো. হাসান, সেক্রেটারি আনম হারুন, ঈদগাহ উপজেলা আমির মাওলানা সলিমুল্লাহ জিহাদী, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি মো. মোহসিন, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের চান্দের পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল গফুরের ছেলে আবুল কাশেম, মুহুরী পাড়া এলাকার তাহের সিকদার, চান্দের পাড়া কলেজ গেট এলাকার আল আমিন, খুরুশকুল ফকিরপাড়ার সেলিম উদ্দিন, নূর মোহাম্মদ ও জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্য জাকির হোসাইন।
অভিযুক্ত জামায়াত আমির নূর আহমদ আনোয়ারী বলেন, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাসিবতপূর্ণ মিছিল করেছি। কোনো পুলিশকে দেখিনি। দলীয় কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টি করতে এই মামলা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন