ভোলায় সাংবাদিকদের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে বৈশাখী টেলিভিশনের ১৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পন্ড হয়ে গেছে। তালা পড়েছে প্রেসক্লাবে। এতে করে বৈশাখী টেলিভিশনের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের কেক আটকা পড়েছে ক্লাবের ভিতরে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ভোলা প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও বৈশাখী টেলিভিশনের ১৮তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক অমিতাভ রায় অপু সহ তাদের কোরামের সাংবাদিকগণ। কিছুক্ষণ পরে প্রেস ক্লাবে প্রবেশ করেন সম্প্রতি হয়ে যাওয়া প্রেস ক্লাবের নব নির্বাচিত কমিটির সভাপতি নজরুল হক অনু ও সাধারণ সম্পাদক শামস্ উল আলম মিঠু ও কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন সাংবাদিকগণ। মুহূর্তের মধ্যেই ক্লাবে থাকা পূর্বের কমিটির নেতৃবৃন্দ সহ অন্যান্যরা বেরিয়ে যায়। এরইমধ্যে বর্তমান কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক বণিক বার্তার প্রতিনিধি এইচ এম জাকির মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে উপস্থাপনা শুরু করতেই বেধে যায় বাকবিতণ্ডা। ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। মুহুর্তের মধ্যে প্রেসক্লাব থেকে বেড়িয়ে যায় সাবেক কমিটির নেতৃবৃন্দ সহ তাদের সাথে থাকা কয়েকজন সাংবাদিকরা। এরপর বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামস্ উল আলম মিঠু পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সকলকে নিয়ে প্রেসক্লাব থেকে বেরিয়ে আসে। এরপরই প্রেস ক্লাবের মধ্যে বৈশাখী টেলিভিশনের কেক রেখেই ক্লাবের দরজায় তালাবদ্ধ করে সটকে পড়ে ক্লাব সহকারি সমীর দে।
এদিকে এই ঘটনাকে পুরোপুরি ন্যক্কারজনক আখ্যা দিয়ে প্রেসক্লাবের বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক সামস্ উল আলম মিঠু বলেন, আমরা বৈশাখী টেলিভিশনের বর্ষপূর্তিতে আমাদের ছোট ভাই বৈশাখী টিভি ভোলা জেলা প্রতিনিধি হোসাইন সাদীকে স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানানোর জন্য অনুষ্ঠানে এসেছি। কিন্তু পূর্বের কমিটির নেতৃবৃন্দের কাছে এই ধরনের ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড আশা করিনি।
এদিকে ঘটনার পরক্ষণেই ক্লাবের সামনে এসে ক্লাবের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, ক্লাবকে দ্বিখন্ডিত করে যারা কমিটি ঘোষণা দিয়েছেন তাদের সাথে আমরা কখনই বসতে পারিনা বলে জানান তিনি।
তবে দীর্ঘদিন যাবত ভোলা প্রেসক্লাব নিয়ে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে পুরো সাংবাদিক সমাজ কুলুষিত হচ্ছে বলে জানান ভোলার বিশিষ্টজনরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন