রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার নিয়ে আবারও অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
তিনি আজ দুপুর আড়াইটার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে এ অসন্তোষের কথা জানান।
পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ইভিএমে ভোটের ধারণা দিতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নগরীর পাড়া-মহল্লায় মক ভোটিংয়ের উদ্যোগ কোনো কাজে আসেনি। ভোটাররা দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ভোট দিতে না পেরে বাড়ি ফিরে গেছেন। এতে আমরা যতটা ভোট পোলের আশা করেছিলাম ততটা হবে না।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় ভোটারদের কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়েছি। এখন তারা ভোট দিতে পারছেন না, এটা দুঃখজনক। এ বিষয়গুলো জানানোর জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসেছিলাম।
শুরুর দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে ডামি ইভিএমে প্রচারণা চালানোর অনুমতি চাইলেও এটাকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে অনুমতি দেওয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশন নিজ উদ্যোগে পাড়-মহল্লায় মক ভোটিংয়ের আয়োহ করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের এই উদ্যোগ কোনো কাজেই আসেনি। তারা নিজেরাও করতে পারলো না, আমাদেরকেও করতে দিল না।
তিনি আরও বলেন, দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ২৪টি কেন্দ্র পরিদর্শন করে কোথাও সন্তোষজনক ভোট পোল পাইনি। ভোটাররা কেন্দ্রে এলেও ইভিএম জটিলতায় সময়মতো ভোট দিতে পারছেন না।
ইভিএমকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে-রিটার্নিং কর্মকর্তার এমন মন্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা বোকার স্বর্গে বাস করি না। কীভাবে ভোট দিতে হয় তা জানি। প্রথমবার ভোট দিতে গিয়ে ইভিএম লক হয়ে যায়। এজন্য আমি নিচে নেমে আসি। পরে ২০ মিনিট পর বুথে গিয়ে ভোট দেই। ইভিএমে সমস্যা হলে একজন ভোটার তো এত সময় বসে থাকতে পারে না। সাড়ে ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ। কিন্তু অনেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন এবং থাকবেন। যতক্ষণ লাইনে থাকবেন ততক্ষণ ভোটগ্রহণ করার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বলেছি। তারা রাত ১০টা পর্যন্ত হলেও ভোটগ্রহণের কথা বলেছেন। কিন্তু একজন ভোটার এত রাত পর্যন্ত কীভাবে অপেক্ষা করবেন। এ অবস্থায় ইভিএমের ওপর সাধারণ মানুষের আগ্রহ হারিয়ে যাবে। ## হালিম আনছারী, রংপুর। ২৭-১২-২২
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন