পাবলিক প্লেস ও নৌ-পরিবহন ধূমপানমুক্ত করার মাধ্যমে জনগণকে পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতিকর দিক হতে রক্ষা করতে বিআইডবিøউটিএ, নৌপুলিশ, আনসারসহ সকল নৌ-পরিবহন মালিক শ্রমিক সংগঠনদের ঐকান্তিক সহযোগিতাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বক্তারা। তারা বলেন পাবলিক প্লেস ও নৌ-পরিবহন শতভাগ ধূমপানমুক্ত হলে জনগণ উপকৃত হবে। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআইডবিøউটিএ’র আয়োজনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভলপমেন্ট এ্যাক্টিভিটিস অব সোসাইটি-ডাস্, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট-বাটা এবং দাতাসংস্থা দি ইউনিয়নের যৌথ সহযোগিতায় বিআইডবিøউটিএ-সদরঘাট, ঢাকার অডিটরিয়ামে ‘নৌ-পরিবহণে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের গুরূত্ব ও করণীয়’- শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিআইডবিøউটিএ-সদরঘাট, ঢাকার মুখ্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবির, যুগ্ম পরিচালক, বিআইডবিøউটিএ’র সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নৌ-পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, নৌপুলিশ, আনসার, বিআইডবিøউটিএ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন (রেজি:-বি-২১৭৬, সিবিএ), লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি সহ বিআইডবিøউটিএ, বাটা, দি ইউনিয়ন ও ডাস্’র কর্মীবৃন্দ। সভায় মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক এ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহাবুবুল আলম তাহিন। সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ডাস্ তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পর টীম লীডার আমিনুল ইসলাম বকুল ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট - বাটা’র এর ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী হেলাল আহমেদ এবং ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ডাস্’র পলিসি এনালিস্ট আসরার হাবীব। সভাটি সঞ্চালনা করেন ডাস্’র সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন টিপু।
ডাস্ জরিপে দেখা যায়, প্রতিদিন সদরঘাট হতে প্রায় ৭০ টি লঞ্চ দেশের দূর দূরান্তের দিকে যাতায়াত করে যেখানে লঞ্চগুলি প্রায় ২০ হাজার যাত্রী বহন করে যারমধ্যে ৪ হাজার ৫০০ যাত্রী বিড়ি-সিগারেট ক্রয় করে টার্মিনালে অবস্থিত বিভিন্ন দোকান ও লঞ্চের মধ্যে অবস্থিত স্থায়ী দোকান হতে (সূত্র: বিআইডবিøউটিএ, বিড়ি-সিগারেট বিক্রিত হকার্স, ঢাকা নদী বন্দর, সদরঘাট, ঢাকা)। অর্থাৎ প্রতি ৪ জন যাত্রীর মধ্যে ১ জন যাত্রী ধূমপান করে। ফলে দেখা যায়, প্রতিদিন একজনের ধূমপানের ফলে ৪ জন অর্থাৎ শতকরা ২৫ ভাগের জন্য শতকরা ৭৫ ভাগ যাত্রী পরোক্ষ ধূমপানের স্বীকার হচ্ছে। এমতবস্থায়, পরোক্ষ ধূমপান প্রতিরোধে লঞ্চ ও টার্মিনালের অভ্যন্তরে বিড়ি-সিগারেটসহ অন্যন্য তামাকজাত পণ্য বিক্রি ও ধূমপান অবিলম্বে বন্ধের আহবাণ জানান বক্তারা।
বক্তারা বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রয়োগ ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকারী সংস্থাগুলোর পাশাপাশি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাগুলোর কার্যক্রমের ফলে তামাক বা তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার অনেকাংশে কমলেও এখনও সাধারন যাত্রী, লঞ্চের মালিক, শ্রমিক-কর্মচারীদের অনেকেই পাবলিক প্লেসে তামাক বা তামাকজাত দ্রব্য সেবন করছে। আবার সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, নৌ-পরিবহন মালিকদের বেশীর ভাগই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সম্পর্কে অবহিত থাকলেও তামাকজাত দ্রব্যে গ্রহণের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ক্ষতি সমন্ধে তাদের সচেতনতা এখন পর্যন্ত আশানুরুপ অবস্থানে যায়নি। তাই, নৌ-পরিবহন ব্যবহারকারী সাধারন যাত্রী, নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও আন্তরিকতা অনুশীলনের জন্য আরও জোরালোভাবে ধূমপান বিরোধী কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়া দরকার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন