মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বালিগাঁও বাজারের ৯টি স্বর্ণের দোকান সহ ১১টি দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দিবাগত গভীর রাতে এঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে । ডাকাতদল অর্ধশত ভরি স্বর্ণালংকার, কয়েকশভরি রূপা সহ কয়েকলাখ টাকা লুটে নেয়ার অভিযোগ করেছে ভোক্তভোগীরা।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী দোকানদারগন জানান, প্রতিদিনের বেঁচেকেনা শেষে রাতে দোকান বন্ধ করে কেউ বাড়িতে কেউ দোকানে রাত্রিযাপন করছিলো দোকানদাররা। গভীররাতে আগ্নেয় ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাজারে হানাদেয় ২০-৩০জনের ডাকাতদল। এসময় দোকানগুলোর তালা ভেঙে ও কয়েকটি দোকানে থাকা মানুষনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি হাত-পা বেঁধে ফেলে ডাকাতদল। একসারিতে থাকা ৯টিস্বর্ণের দোকান সহ ১১টি দোকান থেকে মোট অর্ধশতভড়ি স্বর্ণালংকার, রূপা সহ সমস্ত টাকা লুটে নিয়ে। এসময় ভোক্তভোগীদের চিৎকার ও মসজিদের মাইকে ডাকাতের কথা বলা হলে বাজারের পাশের নৌপথে ট্রলার যোগে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।
স্থানীয়রা জানান, বাজারের বৃষ্টি স্বর্ণালয়, উৎসব গহনালয়, শ্রী দুর্গা গহনালয়, মা সুভাগ্য স্বর্ন শিল্পালয়, বাবা লোকনাথ স্বর্ন শিল্পালয়, মিতু স্বর্ন শিল্পালয়, প্রিয়াঙ্কা গহনালয়, সিঁথি গহনালয়, বিশ্বাস স্বর্ন শিল্পালয় সহ মেসার্স কালাম স্টোর,বিসমিল্লাহ ফার্মেসিতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
উৎসব গহনালয়ের স্বত্বাধিকারী বাসুদেব দাস জানান, রাত এগারোটার দিকে বাসায় আসি। পরে মসজিদের মাইক থেকে ডাকাত আসছে বলে মাইকিং করা জলে দৌড়ে দোকানে যাই। দেখে দোকানের সিন্দুক ভেঙে ৭ভরি স্বর্ণালংকার, ৭০ ভরি রুপা সহ টাকা পয়সা সব কিছু নিয়ে গেছে।
শ্রী দুর্গা গহনালয়ের স্বত্তাধিকারী তারেক নাথ দে জানান, আমার ২ই কর্মচারী দোকানে ছিল, আমি বাসায় চলে এসেছিলাম। গভীর রাতে দল এসে আমার কর্মচারীদের হাত পা বেঁধে নদীর পা নিয়ে যায়। দোকানের দুইটা সিন্ধুকের মধ্যে একটা ভেঙ্গে আড়াই ভরি স্বর্ণ ও টাকা পয়সা নিয়েছে। আরেকটা ভাঙতে পারে নাই। বাজারে আমাদের স্বর্নপট্টিতে ৩০টার বেশি দোকান আছে। ১০টা স্বর্নের দোকান ও একটা ফার্মেসীতে ডাকাতি হয়েছে। মসজিদের মাইকে ডাকাতের কথা বলার পর এসে দেখি এই অবস্থা।
টঙ্গীবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান জানান, ধারনা করা হচ্ছে বাজারের পাশবর্তী খাল দিয়ে ট্রলার যোগে এসেছিলো ডাকাত চক্রের সদস্যরা। ২০-২৫ জন ডাকাত এঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। খবরপাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও মালমাল উদ্ধারে তৎপরতা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন