সাতক্ষীরা সদরের বাঁশদহা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা এস,এম মোশাররফ গ্রেফতার হয়েছেন। পর্ণগ্রাফি আইনের মামলায় সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ গত বুধবার দিবাগত রাতে নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মোশাররফ হোসেন বাঁশদহা ইউনিয়নের রজব আলীর ছেলে। ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় বাঁশদহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিলো। সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) তারেক ফয়সাল ইবনে আজিজ জানান, বাঁশদহা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোশরাফ হোসেন একই ইউনিয়নের এক যুবতীকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দিতেন। এছাড়া, ওই যুবতীর কিছু আপত্তিকর নগ্ন ছবি মোবাইলে পাঠিয়ে উত্ত্যক্ত ও ব্লাক মেইল করে আসছিলেন সাবেক এই চেয়ারম্যান। ফলে মেয়েটি গত বুধবার নিজে বাদি হয়ে মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে পর্ণগ্রাফি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৫৫।এ ঘটনায় গত বুধবার দিবাগত রাতে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের একটি অভিযানিক দল রেউই বাজারস্থ নিজ বাসা থেকে সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরো জানান সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে, ওই যুবতীর বাড়ি বাঁশদহা ইউনিয়নের কামারবায়সা গ্রামে। যুবতী তার মামার বাড়ি একই ইউনিয়নের হাওয়ালখালী গ্রামে থাকেন। পার্শ্ববর্তী কাওনডাঙ্গা গ্রামে রাজীব নামের একজনের সাথে ওই যুবতীর সম্পর্ক তৈরি হয়। সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকা রাজীবের বাড়িতে যাওয়া আসা ছিলো যুবতীর। এদিকে, রাজীবের কাছের মানুষ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফেরও যাতায়াত ছিলো ওই বাড়িতে। সুযোগ বুঝে সিসিটিভি ফুটেজ থেকে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান ওই যুবতীকে ব্লাকমেইল করতেন। চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনের নামে মামলা হওয়ার কিছুদিন আগে রাজীবের নামেও মামলা করেছিলেন ওই যুবতী এমনটাই জানা গেছে সূত্র থেকে। আরো জানা গেছে, আগের দায়ের করা মামলায় জনৈক রাজীব জামিনে রয়েছেন। বিষয়টি বাঁশদহা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও একজন ইউপি সদস্য নিশ্চিত করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন