শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

পাচারের শিকার নারী-পুরুষের উৎপাদিত পণ্যের প্রদর্শনী

যশোর ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

তারা বিদেশ পাড়ি দিয়েছিলেন পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে। বিদেশে স্বর্বস্ব খুইয়েছেন দালালের খপ্পরে পড়ে। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার হস্তক্ষেপে এক পর্যায়ে দেশে ফিরেছেন। পাচারের শিকার এসব নারী ও পুরুষ মানসিক ও অর্থনৈতিকভাবে ভেঙে পড়েন। তাদের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় অনিরাপদ অভিবাসনে। এমন নারী ও পুরুষদের ঘুরে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে সুইজারল্যান্ডের অর্থায়নে উইনরক ইন্টারন্যাশনাল। খুলনা বিভাগে আশ^াস প্রকল্পের মাধ্যমে মানব পাচার থেকে উদ্ধার হওয়ায় নারী ও পুরুষদের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যশোর কালেক্টরেট চত্বরে তাদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার আয়োজন করা হয় উদ্যোক্তা মেলা। দিনব্যাপি এই মেলায় তাদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন করেন খুলনা, সাতক্ষীরা ও যশোর জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৫০ জন উদ্যোক্তা।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ^াস, মহিলা বিষয়ক অধিদফতর যশোরের উপপরিচালক আনিছুর রহমান, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের উপপরিচালক শাহিদুল ইসলাম, যশোর উইমেন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি তনুজা রহমান মায়া, নাসিব ও বিসিক শিল্প ও মালিক সমিতির সভাপতি সাকির আলী। উইনরক ইন্টারন্যাশনাল আশ্বাস প্রকল্পের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান ম্যানেজার ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আশ^াস প্রকল্পের টিম লিডার দীপ্তা রক্ষিত ও রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয়কৃষ্ণ মল্লিক।
মেলায় অংশ নেয়া উদ্যোক্তারা জানান, মানব পাচার থেকে উদ্ধার হওয়ার পর দেশে ফিরে দিশেহারা হয়ে পড়েন তারা। স্বপ্নভঙ্গ মানুষকে নতুনভাবে বাঁচার পথ দেখিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো। তাদের কাউন্সিলিং ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাবলম্বী হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। তাদের উৎপাদিত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে উদ্যোক্তা মেলায় অংশ নিয়েছেন। নিজেদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকারণের মাধ্যমে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে তারা ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন তারা।
এ বিষয়ে উইনরক ইন্টারন্যাশনালের আশ^াস প্রকল্পের টিম লিডার দীপ্তা রক্ষিত বলেন, মানব পাচার থেকে উদ্ধার হয়ে ফিরে আসা মানুষগুলো উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি তারা মনোসামাজিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সমাজে মর্যাদাপূর্ণ জীবন-যাপন করতে সক্ষম হবে বলে আমরা বিশ^াস করি।
যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান ইনকিলাবকে জানান, মানব পাচারের শিকার সারভাইভারগণ আশ^াস প্রকল্পের সহযোগিতায় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করার যে স্বপ্ন দেখছেন। আমরা পাশে থাকলেতারা বৃহৎ উদ্যোক্তাদের সাথে সংযুক্ত হয়ে নিজেদের উদ্যোগকে আরও এগিয়ে নিতে পারবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন