স্টাফ রিপোর্টার : হাঙ্গেরি সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে ত্রুটির ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিট।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতারের বিষয়টি জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান।
তবে কোন ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। বাংলাদেশ বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যাটেরিয়েল ম্যানেজমেন্ট) উইং কমান্ডার (অব.) এমএম আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি (মামলা নম্বর- ২৩) করেন।
মামলাটি দায়েরর পর সেটির তদন্তভার ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিটের কাছে বুধবার রাতেই হস্তান্তর করা হয়।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এসএ সিদ্দিক ও প্রধান প্রকৌশলী (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা এসএম রোকনুজ্জামান, সামিউল হক, লুৎফুর রহমান, মিলনচন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসাইন ও টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান। এজাহারভুক্ত আসামিদের সবাইকেই ইতোমধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে তা তুর্কমেনিস্তানের আশখাবাদে জরুরি অবতরণ করে। সেখানে ত্রুটি সারিয়ে চারঘণ্টা পর বুদাপেস্টের উদ্দেশে যায় বিমান। ওই উড়োজাহাজের ইঞ্জিন অয়েলের ট্যাংকের একটি নাট ঢিলে হওয়ার পেছনে নাশকতা ছিল কি-না, তা খতিয়ে দেখতে ২৮ নভেম্বর পাঁচ সদস্যের কমিটি করে বিমান মন্ত্রণালয়।
ঘটনা তদন্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) আরও দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ইতোমধ্যে কমিটি দুটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন