শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বিএনপিকে রাজপথে ছাড় দেয়া হবে না

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ ও শ্যামলিতে শান্তি সমাবেশ ওবায়দুল কাদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

বিএনপি নষ্ট রাজনীতি করে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা নষ্ট রাজনীতি করে তারা রাষ্ট্র মেরামত করতে পারে না। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। সমাবেশে মোবাইল ফোনে যুক্ত হন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বিএনপি-জামায়াতের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ক্ষমতায় আছি। আমরা আক্রমণকারী হবো না। কিন্তু আক্রমণ করলে বিএনপিকে রাজপথে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তাদের পক্ষে কূটনীতিক, বিবৃতিদাতাদের মাঠে নামিয়েছে। বিবৃতিদাতারা হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অর্থপাচার ও তারেক জিয়ার নষ্ট রাজনীতিকে সমর্থন করছেন। দূতাবাসে নালিশ করছে।

বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে সমাবেশটির আয়োজন করা হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফীর মোবাইল ফোনে কল করে ওবায়দুল কাদের বক্তৃতায় নেতাকর্মীদের রাজপথে সতর্ক পাহারায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে অবস্থান নেওয়ার আহবান জানান।

অন্যদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রাজধানীর শ্যামলী স্কয়ার প্রাঙ্গণে ‘শান্তি সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়। এই শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা মাঠে আছি মাঠে থাকবো। আজকে বিএনপি জামায়াতের নেতৃত্বে মৌলবাদী সন্ত্রাসীরা মাঠে নেমেছে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। উন্নয়নকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রাখতে হবে। দেশের উন্নয়ন অর্জনকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। ক্ষমতার মঞ্চে উন্নয়নকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনার সরকারকে বাঁচাতে হবে।
পদ্মা সেতু ব্যবহারে বিএনপি নেতাদের লজ্জা করা উচিত মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পদ্মা সেতু হলো জোড়াতালি দিয়ে, এখন খুলনাতে তিন ঘণ্টায় সমাবেশ করতে যান। এখন পদ্মা সেতুতে উঠছেন কেন? আপনাদের (বিএনপি) দেশনেত্রী তো বলেছে পদ্মা সেতু জোড়াতালি দিয়ে হয়েছে। এই সেতু এখন কেন ব্যবহার করেন? লজ্জা করে না? আজ দেখলাম একটি কিশোর ইন্টারভিউতে বলেছেন, আমি থাকি নিউইয়র্ক, ঢাকায় এসেছি। এটা তো ঢাকার মেট্রো নয়, নিউইয়র্কের মেট্রো। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল করেছেন, লজ্জায় তাদের (বিএনপি) মাথা হেঁট হয়ে যায়। জ্বালা রে, অন্তর জ্বালা। হায় রে, যেটা আমরা পারলাম না শেখ হাসিনা করেই ফেলল? ভোটের রাজনীতিতে হেরে গিয়ে রেখে যাচ্ছে। বিএনপির নেতারা গোসসা করবেন না। গোসসা করে লাভ নেই। বাংলার জনগণ আগামী ২৪ নির্বাচনেও ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে টানা চতুর্থবার ক্ষমতা বসাবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বড়লোকদের বাড়ির সামনে লেখা থাকে ‘কুকুর থেকে সাবধান’। জনগণ এখন বলে ‘তারেক থেকে সাবধান। বিএনপি থেকে সাবধান’। খেলা হবে, বাংলাদেশ আর রক্তপাতে ফিরে যাবে না। লন্ডনে বসে বলে ‘টেক ব্যাক’ বাংলাদেশের মানুষ আর হাওয়া ভবনে ফিরে যাবে না। তারা নাকি রাষ্ট্র মেরামত করবে। বিএনপি এই রাষ্ট্রকে ধ্বংস করেছে। তারা এই রাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এরা (বিএনপি) নষ্ট রাজনীতি করে। যারা নষ্ট রাজনীতি করে তারা রাষ্ট্র মেরামত করতে পারে না।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আন্দোলন সংগ্রামের নামে বিএনপি-জামায়াত যদি মানুষের জান মালের ক্ষতি করার চেষ্টা করে তাহলে তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। আমাদের নেতাকর্মীরা জনগণের নিরাপত্তার সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

শান্তি সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন