আগামীকাল সোমবার ২ জানুয়ারি ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত জাতীয় সম্মেলনে রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে ১৯ দফা ঘোষণা আসছে। সম্মেলনে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিসহ ১৫ দফা দাবি উপস্থাপন করা হবে। এতে দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। আজ শনিবার পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় সম্মেলন এবং চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারি মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারি মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, সহকারি সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা খলিলুর রহমান, জিএম রুহুল আমিন, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, আলহাজ জান্নাতুল ইসলাম, মুফতী মোস্তফা কামাল, শহিদুল ইসলাম কবির।
সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নতুন করে ব্যাখ্যা করার কিছু নেই। অর্থনৈতিক দুরাবস্থা, নির্বাচন নিয়ে অস্থিরতা, জোট-মহাজোট ভাঙ্গা-গড়ার নিত্য ঘটনা। নিরব দুর্ভিক্ষ সব মিলিয়ে বাংলাদেশের জন্য বর্তমান সময় খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এই গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ সময়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামীকাল ১ জানুয়ারি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মজলিশে শুরা অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন নেতৃত্ব নির্ধারণ করা হবে।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে, জোট মহাজোটের বাইরে আমরা যে একক ইসলামী ও জনশক্তি গড়ে তোলার কাজ করেছি তার ফলাফল আসতে শুরু করেছে। এটাকে কি করে কাজে লাগানো যায় এবং আরো ত্বরান্বিত করা যায় সে বিষয়ে ২ তারিখের জাতীয় সম্মেলন একটি মাইল ফলক হতে যাচ্ছে। সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ অংশ নেবেন। আমরা ২০২২ পর্যন্ত দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে শক্তিশালী কমিটি গঠন করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিলাম। সম্মেলনে ওয়ার্ড পর্যায়ের বাছাইকৃত নেতৃত্ব এবং এর পাশাপাশি ইউনিয়ন থানা ও জেলা শাখার উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন। সম্মেলন থেকে দলের আমীর আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে করণীয় নির্দেশনা প্রদান করবেন। নির্বাচনী লক্ষ্যমাত্রা বেধে দিবেন।
তিনি বলেন, আমরা দেশের প্রায় সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে ঘনিষ্ঠ আলাপ করেছি। বহু বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। আগামীর পরিকল্পনায় সহযোগী হওয়ার বিষয়ে একধরনের বোঝাপড়া হয়েছে। সম্মেলনে সে বিষয়ে একধরনের প্রতিফলন দেখা যাবে ইনশাআল্লাহ। একই সাথে আমরা সমাজের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সাথে আলাপচারিতা, বোঝাপড়া করেছি। তার প্রতিফলনও থাকবে সম্মেলনে। তিনি বলেন, সম্মেলনের যাবতীয় প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। অভ্যর্থনা, নিরাপত্তাসহ সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা শেষ হয়েছে। দীর্ঘ দৌড়-ঝাঁপের পর অবশেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহার করার ব্যাপারে প্রশাসনের অনুমতি হয়েছে। প্রশাসনের এই শুভ বুদ্ধির জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে সম্মেলনকে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও ঢাকাবাসীর প্রতি সার্বিক সহযোগীতার উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। এই সম্মেলন জাতীয় রাজনীতির জন্য একটি বাঁক পরিবর্তনীয় ঐতিহাসিক ঘটনা হতে যাচ্ছে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন