রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

মেট্রোরেলে যুক্ত হোক পুরান ঢাকা

মো. আশিকুজ্জামান আশিক | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০২৩, ১১:৫২ পিএম

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ২০১৫ সালে প্রথম ঢাকায় আসা। পরবর্তীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাওয়ায় ঢাকায় থাকা। দীর্ঘ সাত বছর ধরে পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে আছি। ঢাকায় আরও কিছু আত্মীয়-স্বজন রয়েছে। তাদের বারবার ক্যাম্পাসে ঘুরে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানালেও যানজটের এই শহরে আমার ক্যাম্পাসে আসতে অনিহা। কারণ, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় রাজধানীর শেষ প্রান্ত সদরঘাট এলাকায় অবস্থিত। রাজধানীর অন্য যে কোনো জায়গা থেকে ক্যাম্পাসে আসতে অথবা এই এলাকায় আসতে একজন ব্যক্তিকে ঢাকা শহরের প্রায় প্রধান সবগুলো যানজট পূর্ণ স্থান অতিক্রম করে আসতে হবে। একজন ব্যক্তি যদি মিরপুর থেকে সদরঘাটে আসার পরিকল্পনা নেন, তবে পাঁচ মিনিট পথ আধাঘণ্টার বেশি অনুপাতে ধরেই তাকে বের হতে হয়। ফলে এই পথে যাতায়াতের জন্যই পুরো দিনের সময় ব্যবহার করতে হবে। গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড পার হতে আরও এক থেকে আধা ঘণ্টা সময় অর্থাৎ ধরা যায় ইতিমধ্যে তাদের এক থেকে দুই ঘণ্টা সময় লেগে যাবে। এরপর শুধু গুলিস্তান পার হতে সময় লাগতে পারে আধা ঘণ্টা। পরে পল্টন মোড় থেকে হয়তো শাহবাগের আগ পর্যন্ত কিছুটা জ্যাম মুক্ত গতি থাকবে। এই পথ অতিক্রম করতে হয়তো পাঁচ মিনিট সময় লাগবে। এরপর যদি শাহবাগ মোড়ে যানজট তৈরি হয় তবে আরও আধা ঘন্টা। এরপর রয়েছে কাটাবন সাইন্সল্যাব পর্যন্ত কয়েকটি সিগন্যালের জ্যাম আর জ্যাম। জ্যাম পড়তে হবে আসাদগেট, কলেজগেট, শ্যামলী, গাবতলী এলাকায়। ঘুরতে গেলে রাজধানীর এই পথটি পাড়ি দিতেই তাদের দুপুর গড়িয়ে পড়বে। ফিরতি পথেও একই বিড়ম্বনা। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় দেশের প্রধান নদী বন্দর অবস্থিত। প্রতিদিন এই সদরঘাট নদী বন্দর ব্যবহার করে রাজধানীতে আসছে দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষেরা।

শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন