শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

দক্ষিণাঞ্চল থেকে করোনা মহামারি দূরে সরে থাকালেও টিকা গ্রহনে জন সচেতনতা ও প্রচারনার অভাব

ডেঙ্গু হ্রাস পেলেও ডায়রিয়ার চোখ রাঙানী অব্যাহত

নাছিম উল আলম | প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০২৩, ৪:১৩ পিএম

বিদায়ী বছরের শেষভাগে দক্ষিণাঞ্চল থেকে করোনা মহামারীর সাথে ডেঙ্গু অনেকটা দুরে সরে থাকালেও এখনো ৮০ ভাগের বেশী মানুষকে কোভিড-১৯ প্রতিষেধকের প্রথম ডোজের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। আর দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন গ্রহনকারীর সংখ্যা ৬৬%। বুষ্টার ডোজ গ্রহন করেছেন ৩৩ ভাগেরও কম। দিন দশেক আগে থেকে করোনা প্রতিষেধকের ৪র্থ ডোজ শুরু হলেও সোমবার পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার ৪২ উপজলায় মাত্র সাড়ে ৩ হাজার মানুষ এ টিকা গ্রহন করেছেন।

মূলত করোনার প্রকোপ হ্রাসের সাথে উদাশীনতার সাথে জন সচেতনতা এবং প্রচারনার অভাবেই দক্ষিণাঞ্চলে ভ্যাকসিন প্রয়োগের অগ্রগতি ঝিমিয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন নাম প্রকামে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য বিভাগেরই দায়িত্বশীল অনেক কর্মকর্তা।
তবে দক্ষিণাঞ্চল যুড়ে এখনো ডায়রিয়ার চোখ রাঙানী অব্যাহত রয়েছে। গত এক মাসে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে প্রায় ৫ হাজার ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসার জন্য এসেছে বলে জানা গেছে। এমনকি বদায়ী বছরে দক্ষিনাঞ্চলের সরকারী হাসপাতালগুলোতে প্রায় ৭২ হাজার ডায়রিয়া আক্রান্ত নারী-পুরুষ ও শিশু ডায়রিয়া চিকিৎসা গ্রহন কে ছে। এর বাইরে আরো লক্ষাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত মানুষ বিভিন্ন চিকিৎসক সহ বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। নতুন বছরের প্রথম দু দিনে আরো প্রায় পৌনে ৪শ মানুষ ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে সরকারী হসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে।
এদিকে দক্ষিণাঞ্চলে ডেঙ্গুর প্রকোপও গত মাসে যথেষ্ঠ নিয়ন্ত্রনে এসছে। পূর্ববর্তি মাসে প্রতিদিন গড়ে যেখানে শতাধিক ডেঙ্গু রোগী সরকারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, সেখানে বিগত ডিসেম্বরের ৩১ দিনে ২২৭ জন ভর্তি হয়েছেন। এখন দৈনিক হাসপাতালে আগত রোগীর সংখ্যা ১০ জনের নিচে বলে জানা গেছে। তবে ইতোমধ্যে দক্ষিনাঞ্চলে প্রায় ৩ হাজার ২শ ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ১২ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। যার সবই বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এদিকে প্রায় ১ কোটি জনসংখ্যার দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮০ লাখ ৪২ হাজার ২২৪ জন করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহন করলেও দ্বিতীয় ডোজ গ্রহনকারীর সংখ্যা ৬৬ লাখ ৬ হাজার ২৮৩। আর বুষ্টার ডোজ গ্রহনকারীর সংখ্যা ৩২ লাখ ৬৪ হাজার ২৭২ জন। ৪র্থ ডোজ গ্রহন করেছেন ৪ হাজরেরও কম। ঠিক কত মানুষ এখনো করোনা ভ্যাকসিনের আওতার বাইরে রয়েছে, তা বলতে না পারলেও স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্রের মতে, দক্ষিণাঞ্চলের ১ কোটি জনসংখ্যার অন্তত ২০ ভাগ মানুষ এখনো করোনা ভ্যাকসিন গ্রহন করেন নি।
এদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল যুড়েই নিউমোনিয়া সহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব ক্রমশ বাড়ছে। প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ১শ রোগীও সরকারী হাসপাতালে আসছে। ইতোমধ্যে ভোলায় এক নিউমোনিয়া রোগীর মৃত্যু হয়েছে। গত দেড় মাসে দক্ষিনাঞ্চলের হসপাতাল গুলোতে নিউমোনিয়া সহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যাই ৩ হাজারের ওপরে বলে জানা গেছে। ২-১-২০২৩.

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন