বরিশাল নগরীর ৫ সরকারী বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেনীতে ভর্তিতে একাধিক আবেদন জমা দেয়া ও তথ্যে গড়মিলের কারনে ১৫১ শিশুর ভর্তি বাতিল হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল চারটায় বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনদীপ ঘরাই জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ভর্তি কমিটির সিদ্বান্ত অনুযায়ী কোন শিক্ষার্থী একাধিক আবেদন করতে পারবে না। কিন্তু সেই নিয়ম উপেক্ষা করে অভিভাবকরা একের অধিক জন্মনিবন্ধন তৈরী করে একাধিক নাম ব্যবহার করে একাধিক আবেদন করেছে। সেই আবেদনে দেয়া তথ্যে গড়মিল ছিলো। যাচাই-বাছাইকালে বিষয়টির প্রমান পেয়ে শতাধিক শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত চুড়ান্ত হিসাব সম্ভব হয়নি।
প্রথম পর্যায়ে নগরীর সরকারী পাঁচ স্কুলের ১৫১ জনের নাম পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সরকারী জিলা স্কুলে ৫২ জন, বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫৯ জন, সরকারী বরিশাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ১৫ জন, সরকারি শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৯ জন ও সরকারি শহীদ আরজু মনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ জন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরো জানান, বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীদের শুন্যস্থান অপেক্ষমান তালিকা থেকে পূরন করা হবে। বাতিল প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক মাহাবুবা হোসেন বলেন, দুইদিন যাচাই বাছাই করে দুই শিফটে ৫৯ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রভাতী শাখায় ২৮ ও দিবা শাখায় ৩১ জন রয়েছে। লটারীর মাধ্যমে সুযোগ পাওয়া ২৪০ জনের ভর্তি শেষ করা হয়। তবে ভর্তির পূর্বে প্রত্যয়নপত্রে স্বাক্ষর আদায় করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, যাচাই বাছাইতে কোন ধরনের অসত্য তথ্য ধরা পড়লে ভর্তি বাতিল বলে গণ্য হবে।
বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তিনি বলেন, এর দায় দায়িত্ব তাদের অভিভাবকদেরই নিতে হবে। তাদের সন্তানকে তারা কোথায় পড়াবে তা তারা বুঝবেন। কারন তারা যা করেছেন তা অপরাধের সামিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন