কনকনে শীতে খুলনার জনজীবন স্থবির প্রায়। বুধবার বলতে গেলে সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল সমগ্র নগরী। বেলা ১১ টায় রাস্তায় হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। অনেক স্থানে দিনেই সড়কবাতি জ্বালানো হয়। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হননি। শীতের তীব্রতায় চরম দূর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবি মানুষেরা। রাস্তায় লোক চলাচল কম থাকায় রিকশা ও ইজিবাইক চালকদের মোড়ে মোড়ে অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। শীত বেড়ে যাওয়ায় ফুটপাতের পাশের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েছে। পূরোন কাপড়ের দাম কম থাকায় এসব দোকানে নিম্নবিত্তের ক্রেতাদের পাশাপাশি মধ্যবিত্তদেরও দেখা গেছে। খুলনায় সরকারি ও বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল বলে জানা গেছে। শীতের কারণে খুলনার স্কুলগুলোতে বুধবার শিক্ষার্থী উপস্থিতি বেশ কম ছিল।
এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে শীত বাড়ায় শীতজনিত রোগের প্রাদূর্ভাব বেড়েছে। খুলনা শিশু হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, হাসপাতালের আউটডোরে প্রতিদিন ৫শ’ থেকে ৭শ’ রোগি চিকিৎসা নিচ্ছে। বেড না পেয়ে অনেককেই ফিরে যেতে হচ্ছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, দিন দিন জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। গত ২৪ ঘণ্টায় শীতের তীব্রতা ছিল বেশ। আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গেপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। শীতের তীব্রতা দু একদিনের মধ্যে সাময়িকভাবে কিছুটা কমতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন