বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার দীর্ঘ রাজনৈতিক পরিক্রমায় ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ৫৮’র আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ৬ দফার পক্ষে গণ অংশগ্রহণের মাধ্যমে মুক্তির সনদ হিসেবে এই দাবিকে প্রতিষ্ঠা করে। এরপর ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনা, ৭০’র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়লাভ এবং ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পরাধীন বাংলায় লাল সবুজের পতাকার বিজয় ছিনিয়ে আনতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ হচ্ছে আওয়ামী লীগের সকল আন্দোলনের অন্যতম শক্তি। দেশের যে কোনো আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঝাপিয়ে পড়ে। ভাষা আন্দোলনসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল অন্যতম। আওয়ালী লীগের যে কোনো আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রলীগ মাঠে ছিল এবং থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশকে সেই উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, যা আজ বিশ্বের বিস্ময়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে আজ আমরা অহংকার বোধ করি।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে অংশ নেয় ছাত্রলীগ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা সপরিবারে নিহত হওয়ার পর ছিনতাই হয়ে যায় স্বাধীনতার চেতনা ও গণতান্ত্রিক ধারা। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) দেশে ফিরে স্বাধীনতার চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক ধারা পুনরুদ্ধারে আন্দোলনের সূচনা করেন। ছাত্রলীগ ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে অনন্য ভূমিকা পালন করে। উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও প্রাচীন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার (৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিলেট জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে র্যালী পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন বক্তারা।
র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সুজাত আলী রফিক, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বিজিত চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহ ফরিদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী দুলাল, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট রনজিত সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জগলু চৌধুরী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আনোয়ার হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য এমরুল হাসান, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসার আজিজ, মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু, পীযুষ কান্তি দে, জাহেদ আহমেদ চৌধুরী, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ, সাধারণ সম্পাদক নাইম আহমদ প্রমুখ। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে চৌহাট্টাস্থ সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ এসে শেষ হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন