শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মশা মারতে কামান দাগছে ইউক্রেন, চাপের মুখে পশ্চিমাদের বাজেট ও অস্ত্রভান্ডার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ৮:০২ পিএম

ইউক্রেন অভিযানে রাশিয়া যে হালকা ও সস্তা ড্রোন ব্যবহার করছে তা বেশ শক্তিশালী হলেও সহজেই গুলি করে নামাতে পারছে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। কিন্তু এর জন্য তাদেরকে বেশ ভারী মূল্য প্রদান করতে হচ্ছে। ফলে তাদেরকে সমর্থন দিয়ে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমারা মিত্ররা বাজেট ও অস্ত্রভান্ডারের দিক থেকে বাড়তি চাপের মুখোমুখি হচ্ছে।

নববর্ষের সপ্তাহান্তে, ইউক্রেন বলেছে, তার সামরিক বাহিনী রাশিয়ার পাঠানো প্রায় ৮০টি ড্রোনের প্রতিটিকে ধ্বংস করেছে। ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর একজন মুখপাত্র মঙ্গলবার বলেছেন, ‘এ ধরনের ফলাফল আগে কখনো পাওয়া যায়নি।’ তবে কিছু সামরিক বিশেষজ্ঞ ভাবছেন যে, এ সাফল্য টেকসই কিনা। ইউক্রেন ড্রোন নামাতে আরও বেশি দক্ষ হয়ে উঠছে, কিন্তু এর মধ্যে ক্রমবর্ধমান ভারসাম্যহীনতা রয়েছে: তাদের অনেক প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র যেমন সারফেস টু এয়ার মিসাইলের দাম ড্রোনের চেয়ে অনেক বেশি। এবং এটি, কিছু সামরিক বিশেষজ্ঞ বলছেন, দীর্ঘ যাত্রায় মস্কোর পক্ষে যেতে পারে।

দেশটির যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে সমর্থনকারী ইউক্রেনীয় পরামর্শদাতা মোলফারের প্রধান আর্টেম স্টারোসিক অনুমান করেছেন যে, একটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে একটি ড্রোন নামাতে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের চেয়ে সাত গুণ বেশি খরচ হয়। এটি এমন একটি সমীকরণ যা ক্রেমলিনকে বাড়তি সুবিধা দিতে পারে, কিছু বিশ্লেষক বলছেন। ইউক্রেন বিমান হামলায় ভীত না হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কিন্তু রাশিয়ার হামলাগুলো নিরবচ্ছিন্ন। মোলফার বলছে, তার গ্রুপ অনুমান করেছে যে, সেপ্টেম্বর থেকে রাশিয়া ইউক্রেনে প্রায় ৬০০ ড্রোন উৎক্ষেপণ করেছে। অবকাঠামো লক্ষ্য করে এসব হামলা ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্থ করেছে যার ফলে নাগরিকদেরকে তীব্র শীতের সাথেও যুদ্ধ করতে হচ্ছে।

ইরানের তৈরি শাহেদ-১৩৬ ড্রোন যেগুলোর ওপর মস্কো অক্টোবর থেকে ক্রমবর্ধমানভাবে নির্ভর করছে সেগুলি তুলনামূলকভাবে জটিল ডিভাইস এবং মোটামুটি সস্তা, যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, আকাশ থেকে তাদের গুলি করার জন্য ব্যবহৃত অস্ত্রের বিন্যাস অনেক বেশি দামী হতে পারে। আত্ম-বিধ্বংসী ড্রোন তৈরি করতে ২০ হাজার ডলার বা তার কম খরচ হতে পারে, যেখানে সেটি ধ্বংস করতে একটি সারফেস টু এয়ার মিসাইল নিক্ষেপের খরচ সোভিয়েত আমলের এস-৩০০-এর জন্য ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার এবং একটি আমেরিকান নাসামস-এর একটি ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ৫ লাখ ডলার অবধি হতে পারে৷ সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Abdul Halim ৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:২৭ পিএম says : 0
ফইন,গাদা দের পরিনতি সবসময় এমনই হয়। গর্দভ জেলোনস্কি আমেরিকার খেলার পুতুল, আমেরিকা যেভাবে সুতোয় টেনেছে সেভাবেই নেচেছে। আসলে আমেরিকার যুদ্ধ অর্থনীতির জন্য একটা যুদ্ধের প্রয়োজনে ছিল, গর্দভ জেলোনস্কি আর দূূদর্ষ পুতিনকে দিয়ে সেই ব্যবস্থা করেছে। সবাই বলবে আমেরিকা তো অস্র ও অর্থ সহায়তা করছে, আরে সেটা তো কৈয়ের তেল লাভের তেল তো উপচায়া পরছে। উপসংহারঃ আমেরিকা কারো বন্ধু হতে পারেনা।
Total Reply(0)
Nur Islam jibon ৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ৩:১৬ পিএম says : 0
বাইডেনের কথাই জেলোন্সকি শুধু শুধু নিজের দেশকে ধ্বংস করছে
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন