শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ‘ সোশ্যাল ওয়ার্ক এন্ড সাস্টেইনেবল সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ( ৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল অডিটোরিয়ামে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে তিন দিনব্যাপি এ কনফারেন্স শুরু হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভিসি প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব, দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিসিআর বঙ্গবন্ধু চেয়ার মো. শহীদুল হক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি সেইন্স মালয়েশিয়ার সোশ্যাল সায়েন্স অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ শাহারুদ্দিন সামসুরিজান, ভারতের মুম্বাইয়ের টাটা ইন্সটিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেসের স্কুল অব সোশ্যাল ওয়ার্কের প্রফেসর ড. পি কে শাহজাহান ও আমেরিকার মনমাউথ ইউনিভার্সিটির সমাজকর্ম বিভাগের প্রফেসর ড. মো. গোলাম মাতবর।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সমাজকর্ম বিভাগের প্রফেসর তাহমিনা ইসলামের সঞ্চালনায় সোশ্যাল সায়েন্স অনুষদের ডিন প্রফেসর দিলারা রহমান, বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. ইসমাইল হোসেন, সম্মেলনের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. আ ক ম মাহবুবুজ্জামান এবং সদস্য সচিব প্রফেসর মো. মিজানুর রহমান বক্তব্য রাখেন।
কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে টেকসই সামাজিক উন্নয়নের সাথে ইকো-ব্যালেন্স, জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সামাজিক অবক্ষয়, পপোলিজমের প্রভাব এবং এ থেকে পরিত্রানের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. শহীদুল হক জলবায়ুর পরিবর্তনের সাথে সামাজিক পরিবর্তনের সম্পর্ক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আপনি যদি আমাকে পছন্দ না করেন, আপনি যদি আমার মতো কথা না বলেন তাহলে আপনি আমার দলে নেই, আপনি আমার শত্রু যা পপুলিজম তৈরি করে। জলবায়ু পরিবর্তনের মতো পপুলিজমের উত্থান সমাজ উন্নয়নে হুমকিস্বরুপ। মানুষ যদি এটি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম না হয় তবে সম্ভবত একটি অকার্যকর বৈশ্বিক এবং জাতীয় সমাজ গড়ে উঠবে। রাজনৈতিক পরিচয়ের ওপর ভিত্তি করেও পপুলিজম তৈরি হয় যা সামাজিক বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখতে আমাদের এ বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি।
উল্লেখ্য, তিন দিনব্যাপি আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভারতসহ বিশ্বের ১৪টি দেশের ২৫০জন গবেষকের ১৬৬টি আর্টিকেল উপস্থাপন করা হবে। এতে অনলাইন ও অফলাইনে ২টি করে মোট ৪টি ‘কী-নোট অধিবেশন’ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া শুধুমাত্র অনলাইনে সমান্তরালে মোট ২৮টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন