বরগুনার পাথরঘাটায় রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকারের অভিযোগে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে একবছরের সাজা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মৎস্য বিভাগের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে বিষখালী নদীর তীরে কালমেঘা ইউনিয়নের টুলুপয়েন্টে মানববন্ধন করেছে শতাধিক জেলে পরিবার।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এ মানববন্ধন পালিত হয়। এর আগে বুধবার বেলা বারোটার দিকে রাস্তা থেকে বেলাল ও সালামকে ডেকে নিয়ে স্পীডবোর্টে তুলে নিয়ে বড়ইতলা ফেরীঘাট এলাকায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন প্রতিমাসে প্রত্যেক নৌকাপ্রতি দুই হাজার টাকা করে পাথরঘাটা মৎস্য অফিসার জয়ন্ত কুমার আপুকে মাসোহারা দেয়া হতো। নদীতে মাছ না পড়ায় গত তিন মাস ধরে মাসোহারা দিতে পারছিনা। এর কারনে ক্ষোভে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে সাজা দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী সালামের স্ত্রী পারুল জানান, আমার স্বামী গত তিন মাস ধরে সাগরে মাছ শিকারে যায় না। বর্তমানে ক্ষেতে কৃষি কাজ করে। কিন্তু রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে জেলে দিয়েছে। এখন আমার ছোট ছোট দুই সন্তানদের নিয়ে হতাশায় আছি।
স্থানীয় জেলে কালাম হাওলাদার জানান আমি পেশায় কৃষক। আমাকেও তারা ডেকে নিয়ে নৌকায় তুলতে চেয়েছিলো কিন্তু আমি দৌড়ে পালিয়েছি।
জেলে কালাম মৃধা জানান, আমরা এলাকার জেলেরা মিলে প্রতি মাসে মৎস্য অফিসে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা মাসোহারা দিতাম। নদীতে মাছ না পড়ায়ে গত তিন মাস ধরে মাসোহারা দিতে না পারায় তারা আমাদের সাথে ই আচরণ করেছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাসোহারার বিষয়টি অস্বীকার করে জানিয়েছেন এগুলো সব বানোয়াট। তবে আদালতের মাধ্যমে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নদীতে অবৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকারের অভিযোগে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন