মহা পরাক্রমশীল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার নেতৃত্বাধীন জোটকে যুদ্ধে পরাজিত করে তালেবান আফগানিস্তানে ক্ষমতা পুনর্দখল করে ১৫ আগস্ট, ২০২১ সালে। তারা দেশটির নতুন নামকরণ করে ‘ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তান’। তালেবানের এ বিজয়ে বিশ্ববাসী হতভম্ব হয়েছিল এ কারণে যে, বিশ্বের বৃহৎ শক্তিগুলোকে মাদরাসায় পড়ুয়ারা পরাজিত করেছিল। বিভিন্ন দেশে ইসলামী পুনর্জাগরণবাদীদের মধ্যে নতুন আশা সঞ্চারিত হয়েছিল। আফগানরাও তিন দশক পর বিদেশি দখলমুক্ত হয়ে পূর্ণ স্বাধীনতা পেয়ে আশায় বুক বেঁধেছিল। তারা মনে করেছিল, তালেবান ১৯৯৬-২০০১ সময়ের প্রথম সরকারের ন্যায় কট্টর মনোভাব পরিহার করে নমনীয় হবে। বিশ্ববাসীও তাই মনে করেছিল। তাই তাদের বিজয়কে অনেকেই অভিনন্দন জানিয়েছিল। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের কল্যাণকর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক লেখালেখিও হয়েছিল। আমিও তালেবানের এ বিজয়কে অভিনন্দন জানিয়ে একাধিক নিবন্ধে বলেছিলাম, দীর্ঘদিনের ভয়াবহ যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে শান্তি, পুনর্গঠন, শরণার্থীদের দেশে ফেরত এনে পুনর্বাসন এবং সার্বিক উন্নতির জন্য সকল জাতি-ধর্মের সহবস্থান, প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও নারীর নিরাপত্তা, শিক্ষা, ক্ষমতায়ন প্রয়োজন। এও বলে ছিলাম, জাতিসংঘের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন করা দরকার। তাতে তালেবান জয়ী হয়ে ক্ষমতায় এলেও আর কোনো বিতর্ক থাকবে না। বিশ্ববাসী অনায়াসে স্বীকৃতি দেবে। সর্বোপরি তালেবানের শাসনামল কল্যাণকর হলে শুধুমাত্র সে দেশের মানুষেরই কল্যাণ হবে না, সেই সাথে অন্যান্য ইসলামপন্থীও অনুপ্রাণিত হবে। অনুকরণীয় হবে। জাতিসংঘসহ বিশ্ববাসী প্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিও জানিয়েছিল। কিন্তু কারো কোনো আশাই পূরণ হয়নি। মানুষ সব চেয়ে বেশি আশাহত হয়েছে তালেবানের নারীর উন্নতিবিরোধী নানা কর্মে, যার সর্বশেষ ঘটনা হচ্ছে, নারীদের উচ্চশিক্ষা এবং দেশি-বিদেশি এনজিও থেকে কর্ম নিষিদ্ধ করা। গত ২০ ডিসেম্বর উচ্চশিক্ষাবিষয়ক মন্ত্রী এক চিঠিতে আফগানিস্তানে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়ে বলেন, এই ঘোষণা অবিলম্বে কার্যকর হবে। এ ঘোষণার চরম নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ববাসী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো। সাউথ এশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে এবং বলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে আফগান নারীদের পড়াশোনায় নিষেধাজ্ঞা মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বিভিন্ন মুসলিম দেশ থেকেও এর তীব্র প্রতিবাদ এসেছে। মিশরের আল আজহার মসজিদের গ্র্যান্ড ইমাম শেখ আহমেদ আল-তায়েব, যাকে সুন্নি ইসলামের সর্বোচ্চ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ বলে মনে করা হয়, এক বিবৃতিতে বলেছেন, আফগানিস্তানে মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত তালেবান নিয়েছে, তা ইসলামী শরিয়া আইনের সাথে সাংঘর্ষিক। কারণ, শরিয়া আইনে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নারী ও পুরুষকে জ্ঞানার্জন করতে বলা হয়েছে। সর্বোপরি তিনি বিজ্ঞান, শিক্ষা ও রাজনীতির মতো ক্ষেত্রে বহু মুসলিম নারীর ভূমিকার কথা উল্লেখ করে সিদ্ধান্তটি পরিবর্তনের জন্য তালেবানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্বের প্রথম ইসলামী বিপ্লব সফলকারী দেশ ইরানের এমপি মেহেদি ইসমাইলি বলেছেন, জনহিতকর মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্য রেখে যদি আফগান সরকার এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা না করে তাহলে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান আফগান নারী শিক্ষার্থীদের গ্রহণ করবে। তিনি আরো বলেছেন, দুর্ভাগ্যবশত, আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে মেয়েরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এটা মানবাধিকার সনদের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
তালেবান দেশটির এনজিওতে নারীর চাকরি নিষিদ্ধ করেছে। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় গত ২৪ ডিসেম্বর এক চিঠিতে বলেছে, আফগানিস্তানে দেশি ও বিদেশি এনজিওতে আর কাজ করতে পারবে না নারীরা। এ প্রেক্ষিতে দেশটিতে কর্মরত বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি এনজিও যথা: কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল, নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল, সেভ দ্য চিলড্রেন, দ্য ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি ও ইসলামিক রিলিফ তাদের কার্যক্রম স্থগিত করে এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছে, নারীকর্মী ছাড়া তাদের পক্ষে আফগানিস্তানে কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। উক্ত বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, যদি নারীকর্মীরা অবদান না রাখতেন, তাহলে তাদের পক্ষে আফগানিস্তানে লাখ লাখ মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হতো না। তারা আফগানিস্তানে নারী ও পুরুষ যেন সমানভাবে জীবনরক্ষাকারী বিভিন্ন কর্মসূচিতে কাজ করতে পারে, সেই আহ্বান জানিয়েছে। অপরদিকে, নারীদের উচ্চশিক্ষা ও এনজিওতে কাজ করা নিষিদ্ধ করার বিষয়টি সে দেশের মানুষও মেনে নেয়নি। নারীরা বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বলেছে, নারী শিক্ষার্থীরা ক্লাসে না ফেরা পর্যন্ত তাঁরা বর্জন কর্মসূচি চালিয়ে যাবে। কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের এক বৈঠকে আফগান মানবাধিকার বিষয়ক সক্রিয়বাদী মাহবুবা সিরাজ বলেছেন, আমাদের মুছে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে আফগানিস্তানে মানবাধিকারের কোনো অস্তিত্ব নেই। তালেবানের কাছে আফগানিস্তানের নারীদের অস্তিত্ব নেই। আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহায়তা মিশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধানও তালেবানকে এনজিওতে নারীকর্মী নিয়োগের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও দেশটিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারী ও মেয়েদের পূর্ণ, সমান ও অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টির জন্য দেশটির কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। ওআইসিও একই অনুরোধ করেছে। সর্বোপরি জাতিসংঘ কিছু কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করার পাশাপাশি অন্য অনেক কার্যক্রমও স্থগিতের বিষয়ে সতর্ক করেছে। এর পর হয়তবা দেশটির অন্যসব এনজিও তাদের কর্ম বন্ধ করে দেবে। এমনকি বিভিন্ন দেশ যে সাহায্য দিচ্ছে, তাও বন্ধ হতে পারে। এসব হলে সাহায্যনির্ভর আফগানিস্তানে ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি হবে!
ইতোপূর্বেও তালেবান নারীর উন্নতিবিরোধী নানা কর্ম করেছে, যার অন্যতম হচ্ছে, গত বছরের মার্চে নতুন শিক্ষাবর্ষের শুরুতে, মেয়েদের জন্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া। তাতে প্রায় ৩৫ লক্ষ শিক্ষার্থী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এর পর গত এপ্রিলে হাজার হাজার সরকারি নারী কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছে। একই মাসে একজন পুরুষ অভিভাবক ছাড়া প্রত্যেক নারীকে কাবুল বিমানবন্দরে বিমানে উঠতে এবং পুরুষ আত্মীয় ছাড়া নারীদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। গত মে মাসে টেলিভিশনে উপস্থিত হওয়ার সময় প্রত্যেক নারীকে মুখ ঢেকে রাখার নির্দেশ দিয়েছে, ১৩ বছরের বয়সী মেয়েদের যে কোনও বয়সের পুরুষের সাথে বিয়ে দেওয়ার নিয়ম চালু ও সব নারীকে জনসম্মুখে তাদের মুখ ও শরীর ঢেকে রাখার নির্দেশ এবং গত জুলাই মাসে কাবুলে গ্র্যান্ড অ্যাসেম্বলি থেকে নারীদের বাদ দিয়েছে।
তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের এখনও এক বছর অতিক্রান্ত হয়নি। এর মধ্যে মার্কিনসৃষ্ট খাদ্য সংকট আরো তীব্রতর হয়েছে। শত চেষ্টা সত্ত্বেও বিশ্বের একটি দেশেরও স্বীকৃতি মিলেনি। বৈশ্বিক সাহায্যও প্রয়োজনমত পাওয়া যায়নি। দেশটিতে আইএস নির্মূল হয়নি। তারা প্রায়ই বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক হামলা চালিয়ে জানমালের ক্ষতি করছে। গত ১ জানুয়ারি কাবুলের সামরিক বিমানবন্দরে শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে বহু হতাহত হয়েছে। এনআরএফও সক্রিয় আছে। শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্বও রয়েছে। পাকিস্তানের সাথে মধুর সম্পর্কের মধ্যেও প্রায়ই সীমান্তে সংঘর্ষ হচ্ছে। প্রায় ৪ কোটি জনসংখ্যার দেশটির পুনর্গঠনের কাজও শুরু হয়নি। সে অর্থও নেই। গত বছরের ১১ জানুয়ারি জাতিসংঘ বলে, ২০২২ সালে আফগানিস্তানে মানবিক বিপর্যয় ঠেকানো ও বিধ্বস্ত দেশটি পুনর্নির্মাণে তাদের ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের তহবিল দরকার, যার বিন্দুমাত্রও সংগৃহীত হয়নি। ফলে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। যুদ্ধ করে যারা দেশটিকে ধ্বংস করে দিয়েছে, তাদের দায়িত্ব দেশটি পুনর্গঠন করার। কিন্তু তারাও ফিরে তাকায়নি। বরং তাদের ব্যাংকগুলো আফগান রিজার্ভ জব্দ করেছে, যা তালেবান ছাড় করাতে পারেনি। বিদেশি ঋণ ও বিনিয়োগও নেই। ফলে মানুষের জীবনমানের উন্নতি তো হয়ইনি, বরং অনেক অধোগতি হয়েছে। সম্প্রতি সেফ দ্য চিলড্রেন বলেছে, আফগান শিশুদের অধিকাংশই অর্ধাহার ও অনাহারের মুখে পড়েছে।
এই অবস্থায় নারীর উন্নতিবিরোধী নানা কর্মের কারণে আফগানরা চরম অসন্তুষ্ট হয়েছে। সেই সাথে বিশ্ববাসীও। তাতে আগুনে ঘি ঢালতে পারে ইসলামের শত্রুরা। কারণ, তারা চায় না ইসলামের উত্থান ঘটুক বিশ্বের কোথাও। তাই যেখানেই ইসলামের উত্থান হয়েছে ও ঘটার চেষ্টা হয়েছে, সেখানেই সকলে মিলে তার বিনাশ করেছে, যার জ্বলন্ত প্রমাণ মিশর। মিশরের প্রথম নির্বাচিত ড. মুরসি সরকার ইসলামের পক্ষে কাজ করার কারণে ইসলামের শত্রুরা সে সরকারকে উৎখাত করে সামরিক সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। ইসলামপন্থীদের নির্মূল করার পন্থা নিয়েছে। অতি সম্প্রতি ইরানেও হিজাব না পরা এক নারীর অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে লঙ্কাকা- ঘটেছে বিধর্মীদের ইন্ধনে, যা দেশটি কোনমতে সামাল দিয়েছে। দ্বিতীয়ত: তালেবান পশ্চিমাদের যুদ্ধে পরাস্ত করে ক্ষমতা গ্রহণ করেছে, এটা তারা ভুলে যায়নি। ভবিষ্যতেও ভুলবে না। তাই তারা বিন্দুমাত্র সুযোগ পেলেই পরাজয়ের বদলা নিয়ে তাদের আজ্ঞাবহ লোকদের ক্ষমতায় বসিয়ে ইসলামপন্থীদের নির্মূল করবে। সে জন্য ডা. নজিবুল্লাহ, ঘানি ইত্যাদির মতো লোকেরা রেডি আছে দেশটিতে। তৃতীয়ত: আফগানিস্তানের ভৌগোলিক অবস্থান হচ্ছে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে যোগাযোগের সংযোগ স্থলে। দেশটি প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদে ভরপুর। তাই দেশটির কর্তৃত্ব পেতে মরিয়া সব বৃহৎ শক্তি। সর্বোপরি নারীরা হচ্ছে প্রতিটি দেশ ও জাতির অর্ধেক। তাই তাদের শিক্ষা, ক্ষমতায়ন ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত রেখে কোনো দেশের পক্ষেই সার্বিক ও টেকসই উন্নতি করা সম্ভব নয়। তাই সার্বিক দিক বিবেচনা করে আফগানিস্তানে নারীর নিরাপত্তা, শিক্ষা, ক্ষমতায়ন ও স্বাধীনতাবিরোধী সব কর্ম বন্ধ করে এসব ক্ষেত্রে উন্নতির দিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। অন্যদিকে জাতীয় ঐক্য, গণতন্ত্র, সর্বত্রই সুশাসন ও প্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠার করতে হবে। নতুবা বিশ্ববাসীর স্বীকৃতি ও বৈশ্বিক আর্থিক কর্ম শুরু করা সম্ভব না। ফলে দেশটি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। বরং দারিদ্র আরো বেড়ে যাবে, যা দেশবাসী সহ্য করবে না। বরং যারা যুদ্ধের সময় তালেবানকে আশ্রয় দিয়েছে, সাহায্য করেছে, যুদ্ধ করেছে তারা বেতরাজ হবে, যা কোনো কিছু দিয়েই সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না। উপরন্তু তার রেশ পড়বে সারা বিশ্বে। বৈশ্বিক ইসলামী পুনর্জাগরণবাদীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
উল্লেখ্য যে, সমাজতন্ত্রের পতনের পর পুঁজিবাদের উত্থান ঘটেছে বিশ্বব্যাপীই। কিন্তু তাতে কোনো কল্যাণ হয়নি। বরং শোষণ, নির্যাতন, বৈষম্য বেড়েছে ব্যাপক। তাই শোষিত, নিষ্পেষিত ও নির্যাতিত মানুষ মুক্তির আশায় ইসলামের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। ইসলামের পুনর্জাগরণের ব্যাপক সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। বিধর্মীরা এটা বুঝতে পেরে সে সম্ভাবনাকে অংকুরেই নস্যাৎ করার লক্ষ্যে কিছু মুসলিম নামধারীকে বিপুল অর্থ দিয়ে সন্ত্রাসী বানিয়েছে। তারা বিভিন্ন দেশে ইসলামের নামে সন্ত্রাস করছে। আর সেটা দেখিয়েই বিধর্মীরা সমগ্র মুসলিম জাতিকে জঙ্গি, সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত করে ব্যাপক প্রচার করছে। এর সাথে এখন নারীবিদ্বেষী বলার সুযোগ করে দিচ্ছে তালেবান। তাই এই সর্বনাশা কর্ম থেকে বিরত থাকা দরকার তালেবানের। অপরদিকে, মুসলিম নারী-পুরুষ সকলেরই কর্তব্য ধর্মীয় বিধান পূর্ণভাবে পালন করা। এটা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
sardarsiraj1955@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন