হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের আমীর ও বাবুনগর মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা শাহ্ মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, কওমী মাদ্রাসা গুলো হচ্ছে দ্বীন-ধর্ম চর্চার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। এসব প্রতিষ্ঠানের আলেমগণ দ্বীন-ধর্ম, কুরআন-হাদীসের কথা বলেন। তারা সরকারের প্রতিপক্ষ নয়। তবে দেশে কোরআন-হাদীস বিরোধী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে আলেমগণ তার প্রতিবাদ জানাবেন। প্রতিবাদ জানানো কোনো অপরাধ নয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো- বিগত দুই বছর ধরে কয়েক শ’ আলেম-ওলামাকে বিনা বিচারে কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আলেমদের এভাবে কষ্ট দিলে দেশে খোদায়ী গজব নেমে আসবে। তখন কোনো শক্তি সে গজব থেকে রেহায় পাবে না; গদি রক্ষা করাও যাবে না। আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি- আল্লাহ’র গজব থেকে বাঁচতে চাইলে আলেমদের নির্যাতন বন্ধ করুন। বন্দি আলেমদের দ্রুত নি:শর্ত মুক্তি দিন। সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করুন। অন্যথা ধর্মপ্রাণ মুসলামনগণ বিক্ষুব্দ হয়ে রাস্তায় নেমে এসে গদি থেকে নামিয়ে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করবে।
তিনি গতকাল (আজ) শুক্রবার বাদ জুমা ফটিকছড়িতে অবস্থিত দেশের শতবর্ষী ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র জামিয়া ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর মাদ্রাসার শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ৩ দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন ও দস্তারবন্দী মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) বাদ ফজর থেকে শুরু হওয়া তিনদিন ব্যাপী এ আন্তর্জাতিক মহাসম্মেলন শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে আখেরি মুনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে।
আল্লামা হারুন আজিজী নদভী, মুফতি মুহাম্মদ ইকবাল আজিমপুরী ও মুফতি মুহাম্মদ বাবুনগরীর সঞ্চালনায় এ শর্তবর্ষ মহাসম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, আল্লামা শায়খ মাতার বিন মুহাম্মদ আস সিহলী (সৌদি আরব), আল্লামা হানিফ জালন্দরী (পাকিস্তান), ড. খালেদ গাজীপুরী (ভারত), আল্লামা সুলতান জওক নদভী (চট্টগ্রাম), হাইয়াতুল উলইয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসান (যাত্রাবাড়ী), হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রধান পরিচালক আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া, শায়খুল হাদীস আল্লামা শেখ আহমদ, মুফতি জসিম উদ্দীন, হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান, আল্লামা সালাহ উদ্দিন নানুপুরী, মুফতি হাবিবুর রহমান কাসেমী, মুফতি মাহমুদ হাসান, আল্লামা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ, ড. ফুরকানুল্লাহ খলিল, মাওলানা খুবাইব (জিরি), মাওলানা লোকমান হাকীম, আজিজুল হক আল মাদানী, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, আজিজুল হক ইসলামবাদী, মুস্তাকুন্নবী কাসেমী, আব্দুল বাসেত খান সিরাজী, আব্দুল হক হক্কানী, গাজী সানাউল্লাহ রহমানী, মাওলানা রেজাউল করিম আবরার, আল্লামা আতাউল্লাহ আমিনী, মাওলানা জাকারিয়া আল আযহারী, ইয়াকুব কাসেমী, মাওলানা ঈসমাঈল খানসহ দেশবরেণ্য ইসলামী স্কলারবৃন্দ। তিনদিন দিন ব্যাপী এ মহাসম্মেলনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ অংশগ্রহণ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন