‘মুজিব শতবর্ষে বিদ্যালয় থেকে ঝড়ে পড়া প্রায় ২১ লাখ শিক্ষার্থীকে শিক্ষা দান করা হয়েছে। যা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। বর্তমান সরকার কাউকে নিরাক্ষর রাখবে দিবে না। তাই সরকার নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করছে।’ এমনটাই বলেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর পরিচালক মুহাম্মদ নুরুজ্জামান শরীফ। তিনি সোমবার দুপুরে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন ‘কক্ষে আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন’ বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালায় একথা বলেন।
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর পরিচালক মুহাম্মদ নুরুজ্জামান শরীফ বলেন, সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় শিক্ষা গ্রহণ করছে দেশের ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ। এর বাহিরে যারা রয়েছে, তাদেরও স্বাক্ষর জ্ঞান দিতে নানা পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এই কারণে স্কুল থেকে ঝড়ে পড়া ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী বালক-বালিকাদের শিক্ষা গ্রহণে কর্মসূচি চলমান রয়েছে। যা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। এতে বাংলাদেশে কেউ আর নিরাক্ষর থাকবে না।
কর্মশালায় মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন সভাপতিত্ব করেন। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান ফকির, জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক শুভ বিনিক, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাইনুদ্দিন, প্রতিবন্ধী শিশু শিক্ষা ও সেবা সংস্থা (প্রশিসেস) এর নির্বাহী পরিচালক সেলিনা আখতার, সমতা মানব উন্নয়ন প্রচেষ্টার নির্বাহী পরিচালক হোময়রা লতিফ পান্না, নারী বিকাশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক নাছিমা আক্তার। এতে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সাংবাদিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা অংশ নেয়।
কর্মশালায় মাধ্যমে বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া এবং ভর্তি না হওয়া ৮ থেকে ১৪ বছরের শিশুদেরকে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের জন্য দ্বিতীয় বার সুযোগ দেয়া এবং আনুষ্ঠানিক শিক্ষার মূলধারায় নিয়ে আসার
লক্ষ্যে আলোচনা করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন