কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজার জেলা পুলিশ আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী। পুলিশ চাঁদাবাজী, ডাকাতী ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রতিরোধে নিরলসভাবে কাজ করছে। আজ সোমবার বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয় মিলনায়তনে গণ মাধ্যম কর্মীদের সাথে প্রেস ব্রিফিং এ তিনি একথা বলেন।
এসময় পুলিশ সুপার, সাম্প্রতিক সময়ের কয়েকটি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের কথা তুলে ধরেন।
গত ৭ জানুয়ারি শহরের বিজিবি ক্যাম্প এলাকার আমতলীতে সন্ধ্যার পরে মিজান নামের এক টমটম যাত্রীকে ছিনতািকারীরা ছুরিকাঘত করে হত্যা করে ও তার
মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। ঘটনায় জড়িত শফি আলম (২০), জাহিদ হোসেন (১৯) ও কলিমুল্লা সাকিব (১৮) কে আটক করে।
শহরের মুহাজের পাড়ায় ওসমান নামের এক ব্যক্তিকে ঘরের ছাদের উপর গলা কেটে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখেছিল মিয়া হোসেন নামের এক ব্যক্তি। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
নিহত ওসমানের সাথে মিয়া হোসেন নামের সাথে ওই ব্যক্তির মদ খাওয়ায় বাজি ধরার টাকা নিয়ে বিরোধ হলে মিয়া হোসেন ওসমানকে ব্লেড দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে বলে জানা গেছে।
শহরের বাহার ছড়া এলাকার জিসকা ফার্মাসিউটিক্যাল লিঃ
১১ লাখ ২৩ হাজার টাকা গায়েব হয়ে যায়। ওই কোম্পানীর ইনচার্জ সাজ্জাদ হোসেন ও তার মাকে আটকের পর তাদের দেখানো মতে এপর্যন্ত ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। ওই সাজ্জাদ এই টাকা গায়েব করার সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।
এ ছারাও কুতুবদিয়ার ইউনুস ওরফে পেটানকে তার স্ত্রী ও তার প্রেমিক হত্য করে এক বছর আগে লাশ ধান ক্ষেতে ফেলে রেখেছিল।
পুলিশ সেই ঘটনার ক্লু উদ্ধার করে ওই মহিলাকে আটক করতে সক্ষম হয় বলে জানান।
সংবাদ ব্রিফিং এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম, অলক বিশ্বাস, মিজানুর রহমান ও সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন