বগুড়ার নন্দীগ্রামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগে যুবলীগ নেতা আব্দুস সালামকে (৪৮) আটকের পর গণধোলাই দিয়েছে জনতা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় তাকে আটক করেছে। ধৃত সালাম উপজেলা যুবলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও পেশায় দলিল লেখক। সে ঢাকইর মধ্যপাড়ার সোলাইমান প্রামানিকের ছেলে।
গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পৌর এলাকার ঢাকইর পূর্বপাড়া মহল্যায় এ ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে আটক হওয়া আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণ, পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সালামের সঙ্গে ওই স্কুলছাত্রীর বাবার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। গত তিনবছরপূর্বে তার বাবা স্ট্রোক করে গুরুতর অসুস্থ হন। সেসময় তিনি সালামকে বলেছিলেন, তার মৃত্যুর পর ছোট কন্যা ও পরিবারকে সে যেন দেখভাল করে। স্কুলছাত্রীর বাবা মারা যাওয়ার পর তাদের বাড়িতে যুবলীগ নেতা আব্দুস সালাম আসা যাওয়া করতো এবং খোঁজখবর নিতো। ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্কুলছাত্রীকে বাড়িতে রেখে তার মা ঢাকইর মহল্যার বাজারের দোকানে মুড়ি কিনতে যান। এই সুযোগে বাড়ির শয়ন ঘরে একা পেয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই যুবলীগ নেতা। ধস্তাধস্তির সময় স্কুলছাত্রীর মা বাড়িতে এসে ঘটনাটি দেখেই চিৎকার শুরু করেন। স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আব্দুস সালামকে স্কুলছাত্রীর শয়ন ঘরে আটক করে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্কুলছাত্রীর শয়ন ঘরে অবরুদ্ধ অবস্থায় যুবলীগ নেতাকে আটক করলে উত্তেজিত জনতা শান্ত হয়।
মামলার বিবরণে বলা হয়, পরিবারের খোঁজখবর নেওয়ার অযুহাতে আব্দুস সালাম ওই বাড়িতে গিয়ে দেড়বছরপূর্বে থেকে স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইতো। এছাড়াও গতবছরের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ির শয়ন ঘরে স্কুলছাত্রীকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সালাম। ঘটনাটি কাউকে জানালে স্কুলছাত্রীর বড় ধরণের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দিয়েছিল ওই লম্পট।
এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. খায়রুল ইসলাম জানান, আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন