গণপরিবহনে নৈরাজ্য বন্ধে আরও ৭১১টি বাসে ই-টিকিটিং পদ্ধতি চালু করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। একই সঙ্গে ফিটনেসবিহীন গাড়ি এ প্রকল্পের আওতায় আনা হবে না বলেও জানায় সংগঠনটি। তবে টিকিট ব্যবহারে এখনও যাত্রীরা উদাসীন।
গণপরিবহনে নৈরাজ্য বন্ধে বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির ১ হাজার ৬৪৩টি গাড়িতে ই-টিকিটিং পদ্ধতি চালু করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। এরপরও কমেনি ভোগান্তি। টিকিটে কিলোমিটার উল্লেখ না থাকা, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, কাউন্টার ছাড়া বাসেই টিকিট কাটাসহ রয়েছে নানামুখী অভিযোগ। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই গতকাল মঙ্গলবার থেকে আরও ১৫টি কোম্পানির গাড়িতে ৭১১টি গাড়িতে ই-টিকিটিং পদ্ধতি চালু করেছে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। তবে এতোকিছুর পরও কমেনি ভোগান্তি। টিকিটে কিলোমিটার উল্লেখ না থাকা, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, কাউন্টার ছাড়া বাসেই টিকিট কাটাসহ রয়েছে নানামুখী অভিযোগ।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ গত সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দীর্ঘ সময় পর গেটলক সার্ভিস, সিটিং সার্ভিস বন্ধ করতে পেরেছি। তারপরও অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে আমাদের কাছে বারবার অভিযোগ আসছিল। এবার যাত্রীদের অভিযোগ ই-টিকিটিংয়ে দূরত্ব অনুযায়ী নির্দিষ্ট কিলোমিটারের উল্লেখ নেই। তবে কিলোমিটার উল্লেখ করে ভাড়ার চার্ট তৈরি করার জন্য আমরা এরই মধ্যে বিআরটিএকে অনুরোধ জানিয়েছি। ভাড়ার চার্ট তৈরি করা হলে ডিভাইসে কিলোমিটার উল্লেখ করে দেয়া হবে।
ই-টিকিটিংয়ের জন্য একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক। খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, এটি সমন্বয় করবেন দুজন কর্মকর্তা। এ জন্য একটি হটলাইন করা হয়েছে। যেখানে তিনটি নম্বর রয়েছে। সমিতির পক্ষ থেকে আটজনকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে, যারা পুরো ঢাকা শহর ঘুরে ঘুরে বিষয়টি দেখবেন। পাশাপাশি কয়েকটি কোম্পানির পক্ষ থেকেও বিশেষ চেকার রাখা হবে।
তবে টিকিট ছাড়া কিভাবে এসব গণপরিবহনে চলাচল করছেন সাধারণ যাত্রীরা? এ প্রসঙ্গে খোদ যাত্রীদের অসচেতনতাকেই দুষলেন সংগঠনটির এই শীর্ষ নেতা।
তিনি বলেন, টিকিট ছাড়া ভাড়া না দিতে প্রতিটি বাসে আমরা স্টিকার লাগিয়ে দিয়েছি। কিন্তু যাত্রীরা এটা শতভাগ পালন করে না। মানহীন ফিটনেসবিহীন গাড়ি ইটিকিটিং এর আওতায় আনা হবে না বলেও জানায় সংগঠনটি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন