শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

বাকৃবি ছাত্রলীগ সভাপতির নেতৃত্বে পরীক্ষার্থীকে মারধর, ৩ শিক্ষক লাঞ্চিত

ময়মনসিংহ ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০২৩, ৬:১৭ পিএম

ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদের নেতৃত্বে এক পরীক্ষার্থীকে মারধর ও তিন শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।

লাঞ্ছিত শিক্ষকরা হলেন- গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের (একাংশের) সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. পূর্বা ইসলাম, সহকারী প্রক্টর প্রফেসর আফরিনা মোস্তারিন, পপি খাতুন।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম।

এ ঘটনার জেরে ওই রাতেই বাকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার উপযুক্ত কারণসহ সাত দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে লাঞ্চিত শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে ভেটেরিনারি অনুষদের লেভেল ৪ এর সেমিস্টার ২ এর পরীক্ষা চলছিল। এ সময় পরীক্ষা দিতে আসা আফতাব দূর্বার নামে এক ছাত্রকে শত্রুতার জেরে ছাত্রলীগ সভাপতি রিয়াদ ও তার লোকজন মারধর করতে উদ্যত হয়। এতে পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনকারী একজন শিক্ষক বিষয়টি ওই বিভাগের শিক্ষক গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একাংশের সাধারণ সম্পাদক পূর্বা ইসলামকে জানান।

এ সময় পূর্বা ইসলাম দ্রুত বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্বপাপ্ত শিক্ষকদের জানালে কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রক্টর ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘটনাস্থলে আসেন। এরই মাঝে আফতাব দূর্বার নামের ওই শিক্ষার্থী পূর্বা ইসলামের কক্ষে গিয়ে আশ্রয় নেন।

কিন্তু প্রক্টর বিষয়টি সমাধান না করেই পূর্বা ইসলামের কক্ষ থেকে চলে যান এবং প্রক্টর চলে যাওয়ার পরপর ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতির নেতৃত্বে তার লোকজন পূর্বা ইসলামের কক্ষে জোরপূর্বক প্রবেশ করে আফতাব দূর্বারকে মারধর করতে থাকে। এসময় পূর্বা ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আফরিনা মোস্তারিন শিক্ষার্থী আফতাবকে রক্ষা করতে চাইলে খন্দকার তায়েফুরের নেতৃত্বে তার লোকজন তিন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে আমি মনে করি। কারণ এ ঘটনার পর এখন পযর্ন্ত কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সহমর্মিতা প্রকাশ বা কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

এ সময় সহকারী প্রক্টর আফরিনা মোস্তারিন বলেন, এর আগে ছাত্রলীগ সভাপতি রিয়াদ আমাকে লাঞ্ছিত করেছে। কিন্তু তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একাংশের সভাপতি এমএএম ইয়াহিয়া খন্দকার ও সহকারী প্রক্টর আফরিনা মোস্তারিনসহ গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একাংশের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ মহির উদ্দিনের নাম্বারে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

তবে ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ বলেন, আফতাব দূর্বারের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। তাই সে পরীক্ষা দিতে আসার খবর পেয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাকে মারধর করতে যায়। তবে আমার উপস্থিতিতে কোনো শিক্ষার্থী বা কোনো শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা হয়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন