রাজধানীর নিকটবর্তী গাজীপুরে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে কাল থেকে ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমাকে সফল করতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি, জড়ো হচ্ছেন মুসল্লিরা। শুক্রবার ফজর বাদ আমবয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হবে প্রথম পর্বের ইজতেমা।
ইজতেমায় যোগ দিতে আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের ৭টি রাজ্যে থেকে বিপুলসংখ্যক মুসল্লি বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন। গত বছরের নভেম্বরের ২৬ তারিখ থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত ২২০ জন ভারতীয় মেহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। ১৫ জানুয়ারি রোববার ১ম পর্বের আখেরি মোনাজাত এবং মাঝে ৪ দিন বিরতি দিয়ে ২০ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করতে আগের দিন পর্যন্ত আরও বিদেশি মেহমান আসবেন বলে ভারতীয় মুসল্লিরা এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন।
আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, বিদেশি মেহমানদের অভ্যর্থনা জানানো, থাকা-খাওয়া ও ঢাকায় পাঠানোসহ সব কাজ দ্রুত করার জন্য তাবলিগ জামায়াতের ঢাকার কাকরাইল মসজিদ থেকে একটি প্রতিনিধি দল আখাউড়া স্থলবন্দরে অবস্থান করছেন। তারা প্রতিদিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত আগত মুসল্লিদের সার্বিক সহযোগিতা করেন। এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন এলাকায় বিদেশি মেহমানদের নাস্তা-পানি দিয়ে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ আগত মুসল্লিদের এ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে ভারতের আসাম রাজ্যে থেকে আসা মাওলানা আব্দুল করিম বলেন, বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন পুলিশের আতিথেয়তায় সত্যিই আমরা মুগ্ধ। তাদের এ আপ্যায়ন ও সহযোগিতা আমাদের মনে থাকবে। আখাউড়া ইমিগ্রেশন ইনচার্জ স্বপন চন্দ্র দাস বলেন, গত বছরের নভেম্বরের ২৬ তারিখ থেকে গতকাল বিকেল পর্যন্ত এই সীমান্ত দিয়ে ২২০ জন ভারতীয় মেহমান বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে এসেছেন। প্রতিদিনই সকাল থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ আগত মুসল্লিদের নাস্তা-পানি দিয়ে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন