বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও দর্শন বাঙ্গালী জাতির সবচেয়ে বড় শক্তি।
বঙ্গবন্ধু আদর্শকে জাতির জন্য অনুসরণীয় পথ হিসেবে তুলে ধরতে হবে বলে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনের ভিত্তিতে বাঙ্গালী জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)’র পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।
পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন : বাঙ্গালীর স্বাধীনতার পরিপূর্ণতার দিন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ড. ফায়েকুজ্জামান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভুঁইয়া ও পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অজিত কুমার সরকার প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা পরিপূর্ণতা পেয়েছিল। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে বাঙালি জাতিকে ঐতিহাসিক একটি দিন উপহার দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এই দিনটির গুরুত্ব দেশের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও অনুপ্রেরণাকে সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। যাতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম তা উপলব্ধি করতে পারে।
ড. আরেফিন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও দর্শন আমাদের শক্তি। এই আদর্শ ও শক্তিকে মূল প্রেরণা মনে করে আজ থেকে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে এগিয়ে যেতে হবে। সেটাই হবে আমাদের দর্শন ও মূল চালিকা শক্তি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কঠিন আন্দোলন ও লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে কঠোর মনোভাব দেখিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধস্ত দেশে ফিরে এলে লাখো জনতা তাকে স্বাগত জানায়।
ইয়াফেস ওসমান বলেন, বঙ্গবন্ধু সাড়ে সাত কোটি মানুষকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার কতটুকু আমরা করতে পেরেছি। এই সময়ে কত দিন চলে গেছে। স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ২১ বছরে দেশের মানুষের মধ্যে নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, পরাজিত শত্রুরা বসে নেই, আমাদের প্রথম ও প্রধান কাজ হবে দেশের মানুষের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা। ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে জানাতে হবে। মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বোধ জাগিয়ে তুলতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ৫১তম বছর। ১৯৭২ সালের এই দিনে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে সদ্য স্বাধীন দেশে ফিরে আসেন তিনি দীর্ঘ ৯ মাস ১৪ দিন পর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন